Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পার্বতীপুরে ঈদের কেনা কাটায় উপচেপরা ভিড়

মূল্য তালিকা না থাকায় প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ

পার্বতীপুর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০২০, ৩:০৮ পিএম

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে শহর গ্রাম সর্বত্র ঈদের কেনাকাটায় উপচেপরা ভিড় চলছে। ১০ ইউনিয়ন ও পৌরসভার সব জায়গায় বস্ত্রবিতান, জুতার দোকান ও কসমেটিক্সের দোকানের কোন পণ্যের ক্রয় বিক্রয়ের মূল্য তালিকা না থাকায় ক্রেতারা প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ক্রেতারা বলেন, প্রতিবছর রোজার শুরুতে প্রতিটি পণ্যের বিক্রয় মূল্যের তালিকা ক্রেতাদের জন্য ঝুলিয়ে রাখেন দোকানদার ব্যবসায়ীরা। এ কাজটি প্রশাসনের নির্দেশে দোকানদার ব্যবসায়ীরা করতে বাধ্য হন। কিন্তু এবার এ কাজটি শহর গ্রাম কোথাও করা হয়নি। একজন ক্রেতা তার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এমন লাগাম ছাড়া দাম চাওয়া হয় যে, একে ব্যবসা না বলে লুটপাট বললেও কম বলা হবে।

পার্বতীপুর উপজেলার হাবড়া ইউনিয়নের রামরায়পুর গ্রামের গৃহবধু হাফিজা খাতুন। গত শুক্রবার তার তিন ছেলে মেয়ে নিয়ে এসেছিলেন নতুন বাজারে। তার চাহিদা ও ক্রয় তালিকায় ছিলো দু’টি থ্রী পিস (জর্জেট), একটি করে প্যান্ট, শার্ট, লুঙ্গি ও পাঞ্জাবি। ৩ ছেলে মেয়ের জুতা, স্যান্ডেল ও কসমেটিক্স সামগ্রী। এছাড়াও দুই কেজি গরুর গোসত, দুই কেজি পোলাও’র চাল ও দুই কেজি সেমাই। এই গৃহবধু ক্রয় তালিকায় তার নিজের জন্য কিছুই রাখেননি। তিনি বলেন, বাজারে ধানের দাম কমে গেছে তাই বিপদটা বেশি হয়েছে। হাফিজা আরও বলেন, আমি সারা বছর অল্প অল্প করে কিছু টাকা জমিয়ে রাখি এই ঈদের কেনাকাটার জন্য। কিন্তু দোকানদার, ব্যবসায়ীদের অতিমাত্রায় লোভের কারনে সব হিসেবে নিকেশ পন্ড হয়ে গেছে। লাগাম ছাড়া দাম চাওয়ায় সাধ ও সাধ্যের মধ্যে সমন্বয় হয়নি। এ কারণে চাহিদার অর্ধেক কাটছাট করতে হয়েছে।
একই অবস্থার কথা জানালেন চাকলা বাজার থেকে আসা কৃষক মেরাজ আলী। মেরাজ আলীর অভিযোগ কোন দোকানে পণ্যের ক্রয় ও বিক্রয় মূল্যের তালিকা না থাকায় লুটপাটের সুযোগ পাচ্ছে বিক্রেতারা। তার মতো অন্যান্য ক্রেতাদেরও অভিযোগ অনুরুপ। ৬০০/৭০০ টাকার থ্রি পিসের (জর্জেট) দাম চাওয়া হচ্ছে ৩ হাজার টাকা। সুতি থ্রি-পিসের দাম চাওয়া হচ্ছে ২ হাজর ৫০০ টাকা। ক্রয় মূল্য আর বিক্রয় মূল্যের তালিকা ঝুলিয়ে রাখা হলে ক্রেতাদের নাকানি চুবানি খেতে হয় না।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ শাহনাজ মিথুন মুন্নী বলেন, সব পণ্যের মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে রাখার নিয়ম আছে।

অন্যদিকে, গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ৫/৬টি জুতার দোকানে মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে রাখার ব্যপারে জানতে চাইলে বলেন, এসব ভাবার মতো সময় আমাদের হাতে নাই। কেউ কেউ বলেন পরে আসবেন, এখন আগে কেনাকাটা সামলাই। দোকান থেকে বেরিয়ে আসার সময় একজন দোকানদার বলেন, খায়া কাম নাই, আজাইরা প্যাঁচাল পারতাছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ