Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সেক্টর কমান্ডারদের মুক্তিযুদ্ধ

আ হ মে দ উ ল্লা হ্ | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০২০, ১২:০৫ এএম

১৯৭১ সালে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। সেই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধই হলো আমাদের জাতীয় ইতিহাসের শ্রেষ্টতম গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। মুক্তিযুদ্ধ মূলত একটি জনযুদ্ধ। এদেশের সাধারণ মানুষ, কৃষক-শ্রমিক, জেলে-মাঝিসহ বিভিন্ন শ্রেণির পেশাজীবি মানুষের অসাধারণ আত্মত্যাগ এবং শৌর্য-বীর্যের এক অনন্য গৌরবমাখা মহান ইতিহাস হলো আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। যদিও ওই শ্রেষ্টতম অধ্যায়ের দাবিদার কেবল সাড়ে সাত কোটি বাঙালি, তবুও যে সকল মেধাবী ও চৌকষ সেনা-নায়কদের সাহস ও বুদ্ধিদ্বীপ্ত পরিচালনায় ওই শ্রেষ্টতম অধ্যায় তথা সশস্ত্র যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল, তাদের কৃর্তী ইতিহাসকে গৌরবোজ্জ্বল করে রেখেছে।
১৯৭১ সারের ১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাস্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাস্ট্রপতি এবং তাজউদ্দিন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার তথা মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়। এরপরই পরিকল্পিতভাবে যুদ্ধটিকে বিজয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষে সমগ্র বাংলাদেশের ভৌগোলিক এলাকাকে চারটি যুদ্ধঅঞ্চলে বিভক্ত করেন। যুদ্ধঅঞ্চলসমূহ এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিনায়কগণ হলেনÑ
চট্টগ্রাম অঞ্চল, মেজর জিয়াউর রহমান
কুমিল্লা অঞ্চল, মেজর খালেদ মোশারফ
সিলেট অঞ্চল, মেজর কে. এম সফিউল্লাহ্
দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল, মেজর আবু ওসমান চৌধুরী।
পরবর্তীতে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলকে আরও তিনটি অঞ্চলে বিভক্ত করে রাজশাহী অঞ্চলের দায়িত্ব মেজর নাজমুল হক, দিনাজপুর অঞ্চলের দায়িত্ব মেজর নওয়াজেস উদ্দিন এবং খুলনা অঞ্চলের দায়িত্ব মেজর জলিলকে দেয়া হয়।
১৯৭১ সালের ১০ জুলাই থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত মুক্তিবাহিনী সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে যুদ্ধঅঞ্চলের অধিনায়কদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়; ওই সম্মেলনে বাংলাদেশের ভৌগোলিক এলাকাকে এগারোটি যুদ্ধ সেক্টর বা রণাঙ্গনে ভাগ করে সেক্টর কমান্ডার বা অধিনায়ক নিযুক্ত করা হয়।
সেক্টর ভিত্তিক কমান্তারদের মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলোÑ
১ নং সেক্টর: চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম নোয়াখালী জেলার ফেনী(বর্তমানে জেলা) মহকুমার অংশবিশেষ(মুহুরী নদীর পূর্বপাড়) নিয়ে এই সেক্টর গঠিত। এই সেক্টরের হেডকোয়ার্টার ছিল ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের হরিণা। এই সেক্টরে প্রথমে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত কমান্ডার ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান এবং জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কমান্ডার ছিলেন মেজর রফিকুল ইসলাম। ৫টি সাব সেক্টর নিয়ে গঠিত এই সেক্টরের প্রায় দশ হাজার মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধ করেছেন। তন্মধ্যে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনীসহ পুলিশ, ইপিআরসহ প্রায় দুই হাজার নিয়মিত সৈন্য এবং গণবাহিনীর সংখ্যা ছিল আট হাজার।
২ নং সেক্টর: ঢাকা, কুমিল্লা, আখাউড়া-ভৈরব, নোয়াখালী(মুহুরী নদীর পূর্বাঞ্চল ব্যতীত) এবং ফরিদপুর জেলার কিছু অংশ নিয়ে এই সেক্টর গঠিত। এই সেক্টরের বাহিনী গঠিত হয় ৪-ইস্ট বেঙ্গল এবং কুমিল্লা ও নেয়াখালীর ইপিআর বাহিনীর সমন্বয়ে। প্রথমে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর কেএম খালেদ মোশারফ। সেপ্টম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কমান্ডার ছিলেন মেজর এটিএম হায়দার। এই সেক্টরের সদর দপ্তর ছিল ভারতের আগরতলার দক্ষিণে ত্রিপুরা রাজ্যের মেলাঘরে। ছয়টি সাব-সেক্টর নিয়ে গঠিত এই সেক্টরে নিয়মিত বাহিনীর সংখ্যা ছিল প্রায় ছয় হাজার এবং প্রায় পয়ত্রিশ হাজার গেরিলা যুদ্ধ করেছে। এই সেক্টরের সফল অভিযানের ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে পাক-বাহিনী সম্পূর্ণ বিতাড়িত হয় এবং এই সেক্টরের অভিযানের ফলে ২১ জুন পর্যন্ত বেলোনিয়া সূচিব্যুহের প্রবেশ মুক্ত ছিল।
৩ নং সেক্টর: ঢাকা জেলার কিছু অংশ, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও কুমিল্লার অংশ(আখাউড়া- ভৈরব রেললাইন থেকে পূর্বদিকে অংশ) নিয়ে গঠিত হয়েছিল এই সেক্টর। ২-ইস্ট বেঙ্গল এবং সিলেট ও ময়মনসিংহের ইপিআর বাহিনীর সমন্বয়ে এই সেক্টর গঠিত হয়। এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর কেএম সফিউল্লাহ। সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মেজর এএনএম নূরুজ্জামান সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের হেজামারা ছিল এই সেক্টরের সদর দপ্তর। দশটি সাব-সেক্টর নিয়ে গঠিত এই সেক্টরের অধীনে ঊনিশটি গেরিলা ঘাঁটি গড়ে ওঠেছিল এবং গেরিলার সংখ্যা ছিল ত্রিশ হাজার। কুমিল্লা-সিলেট সড়কে কয়েকটি সেতু বিধ্বস্ত করে পাক বাহিনীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্নসহ শায়েস্তাগঞ্জে ট্যাঙ্কবিধ্বংসী মাইনের সাহায্যে একটি রেলগাড়ি বিধ্বস্ত করা ছিল এই সেক্টরের সফল অভিযান।
৪ নং সেক্টর: সিলেট জেলার অংশবিশেষ নিয়ে এই সেক্টর গঠিত। এর পশ্চিম সীমান্ত তামাবিল-আজমিরীগঞ্জ রেললাইনের উত্তরাংশ এবং লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জ রেললাইনের দক্ষিণাংশ। সিলেটের ইপিআর বাহিনীর সৈন্যদের সাথে ছাত্র মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছিল এই সেক্টর। এই সেক্টরে কমান্ডার ছিলেন প্রথমে মেজর সিআর(চিত্তরঞ্জন) দত্ত এবং পরে ক্যাপ্টেন আবদুর রব। প্রথমে এর সদর দপ্তর ছিল করিমগঞ্জে এরপর আসামের মাসিমপুর। ছয়টি সাব-সেক্টর নিয়ে গঠিত এই সেক্টরে ৯৭৫ জন সৈন্য এবং ৯,০০০ গেরিলা যুদ্ধ করেছে।
৫ নং সেক্টর: বৃহত্তর ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী অঞ্চল এবং সিলেট জেলার অংশ বিশেষ(তামাবিল-আজমেরীগঞ্জ রেললাইনের পশ্চিমাংশ) নিয়ে গঠিত এই সেক্টর। মেজর মীর শওকত আলী এই সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন। এই সেক্টরের সদর দপ্তর ছিল বাঁশতলাতে। এই সেক্টরকেও ছয়টি সাব-সেক্টরে বিভক্ত করা হয়েছিল। এই সেক্টরে আটশত নিয়মিত সৈন্য এবং পাঁচ হাজার গেরিলা যুদ্ধ করেছে। সিলেট-তামাবিল এবং সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে বেশ কয়েকটি সেতু বিধ্বস্ত করে পাকবাহিনীর যোগাযোগ বিচ্ছন্ন করাসহ ছাতক আক্রমণ ছিল সবচেয়ে সফল অভিযান।
৬ নং সেক্টর : দিনাজপুরের অংশ বিশেষ(ঠাকুরগাঁও) এবং ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরবর্তী অঞ্চল ব্যতীত সমগ্র রংপুর নিয়ে এই সেক্টর গঠিত। রংপুর ও দিনাজপুরের ইপিআর বাহিনী নিয়ে গঠিত হয় এই সেক্টর। এই সেক্টরের সদর দপ্তর ছিল বুড়িমারী, পাটগ্রাম। সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এয়ার ভাইস-মার্শাল একে বাশার। পাঁচটি সাব-সেক্টরে বিভক্ত এই সেক্টরে সৈন্যসংখ্যা ছিল এগারো হাজার; তন্মধ্যে দুই হাজার নিয়মিত সৈন্য এবং নয় হাজার গণবাহিনী। রংপুর জেলার উত্তরাংশ নিজেদের দখলে রাখে এই সেক্টরের বাহিনী।
৭ নংসেক্টর : সমগ্র বগুড়া, রাজশাহী ও পাবনা জেলা, দিনাজপুরের দক্ষিণ অঞ্চল ও রংপুরের অংশবিশেষ নিয়ে এই সেক্টর গঠিত। মূলত ইপিআর সৈন্যদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল এই সেক্টর। এই সেক্টরে কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে তিন জনÑ মেজর নাজমুল হক( সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হন), সুবেদার মেজর এ রব এবং মেজর কারী নুরুজ্জামান। এর সদর দপ্তর ছিল ভারতের পশ্চিবঙ্গের বালুরঘাটের নিকটবর্তী তরঙ্গপুর। আটটি সাব-সেক্টরে বিভক্ত করে দুই হাজার পাঁচশত নিয়মিত সৈন্য এবং বারো হাজার পাঁচশত গেরিলার সমন্বয়ে পনেরো হাজার মুক্তিযোদ্ধা এই সেক্টরে যুদ্ধ করেন।
৮ নং সেক্টর : যশোর, কুষ্টিয়া জেলা এবং দৌলতপুর, সাতক্ষীরা সড়ক পর্যন্ত খুলনা জেলা এবং ফরিদপুরের কিছু অংশ নিয়ে এই সেক্টর গঠিত। সাতটি সাব-সেক্টর নিয়ে গঠিত এই সেক্টরের সদর দপ্তর ছিল কল্যাণীতে। এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত এই সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর আবু ওসমান চৌধুরী এবং পরে আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মেজর এম.এ মঞ্জুর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই সেক্টরে ত্রিশ হাজার নিয়মিত সৈন্য এবং পঁচিশ হাজার গেরিলা সৈন্য যুদ্ধ করেন। এই সেক্টরের সৈন্যরা অভিনব কৌশল অবলম্বন করে পাকবাহিনীর ওপর আক্রমণ চালিয়ে বহু পাকসেনা বিধ্বস্ত করে।
৯ নং সেক্টর : সমগ্র বরিশাল, পটুয়াখালী ও খুলনা জেলা(সাতক্ষীরা ব্যতীত) এবং ফরিদপুর জেলার কিছু অংশ এবং গোপালগঞ্জ এলাকা নিয়ে এই সেক্টর গঠিত। এই সেক্টরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডারগণ হলেনÑ মেজর এমএ জলিল এবং মেজর জয়নাল আবেদীন; এছাড়াও মেজর এম এ মঞ্জুর অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনটি সাব-সেক্টরের বিভক্ত এই সেক্টরের সদর দপ্তর ছিল ভারতের বসিরহাটের টাকিতে। ডিসেম্বর মাসে চূড়ান্ত আক্রমণের পূর্বে এই সেক্টরকে ৮নং সেক্টরের সঙ্গে একীভূত করে দায়িত্ব অর্পন করা হয় মেজর মঞ্জুরের ওপর।
১০ নং সেক্টর : এই সেক্টরের কোনো আঞ্চলিক সীমানা ছিল না। সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল, নৌ কমান্ডো ও অভ্যন্তরিণ নৌ-পরিবহণ ছিল ছিল এই সেক্টরের অধীনে। বিভিন্ন নদী বন্দর ও শত্রæপক্ষের নৌ-যানগুলোতে অভিযান চালানোর জন্য এই সেক্টর থেকে বিভিন্ন সেক্টরে পাঠানো হতো। এই সেক্টরের কোনো সাব-সেক্টর ছিল না, ছিল না নিয়মিত কোনো সেক্টর কমান্ডার। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়Ñ এই সেক্টরের উদ্যোক্তা ছিলেন ফ্রান্সে প্রশিক্ষণরত পাকিস্তান নৌ-বাহিনীর আট জন বাঙালি কর্মকর্তা এই সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নৌকমান্ডোর সংখ্যা ছিল ৫১৫ জন।
১১ নং সেক্টর : টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ(কিশোরগঞ্জ ব্যতীত) জেলা নিয়ে এই সেক্টর গঠিত। এই সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেনÑ এপ্রিল থেকে নবেম্বর পর্যন্ত মেজর এম আবু তাহের এবং এরপর ফ্লাইট লেফট্যান্যান্ট হামিদুল্লাহ। এই সেক্টরের সদর দপ্তর ছিল ভারতের আসাম রাজ্যের মাহেন্দ্রগঞ্জ। সাতটি সাব-সেক্টরে বিভক্ত এই সেক্টরে বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটে। এই সেক্টরে প্রায় পঁচিশ হাজার মুক্তিযোদ্ধা এবং কাদের সিদ্দিকীর টাঙ্গাইলের মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকী তার নিজ জেলায় ষোলো হাজার গেরিলা যোদ্ধা সংগঠিত করে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সফল পরিচালনা করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে এই বীর সেক্টর কমান্ডারগণ অনন্য অবদান রেখে বাঙালি জাতির ইতিহাসে দ্বীপ্তিময় তারকার মতো উজ্জ্বল হয়ে আছেন। সেই নক্ষত্রমÐলির মাঝে সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান; যার দূরদশী নেতৃত্ব, যুদ্ধকৌশল ও অসীম সাহসের প্রেরণাই আমাদের দেশ ও স্বাধীনতা। নক্ষত্রবৎ বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে অন্যান্য নক্ষত্ররা জ্যোতির্ময় হয়ে এনে দিয়েছে আমাদের স্বাধীনতা, প্রিয় বাংলাদেশ।



 

Show all comments
  • আমি মনে করি ২০০০ সালের আগে যেসব মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্র আছে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তারাই। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কিন্তু ঘুষের কারণে আমার পিতার নাম গেজেট করতে পারিনি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মুক্তিযুদ্ধ


আরও
আরও পড়ুন