Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমফান : উড়িষ্যায় ভারী বৃষ্টিপাত শুরু, পাঁচ কোটি মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০২০, ৫:২০ পিএম

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের বাতাসের গতি এখন ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার, যা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। মঙ্গলবার (১৯ মে) শেষরাত থেকে বুধবার বিকাল বা সন্ধ্যার মধ্যে সুপার সাইক্লোনটি বাংলাদেশ অতিক্রম করবে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়ার ২৩ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়া অফিস এ আভাস দিয়েছে।
সুপার সাইক্লোন কেন্দ্রের ৯০ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ২২৫ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুপার ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০৭ (সাত) নম্বর পুনঃ ০৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৭ নম্বর বিপদ সংকেত (পুনঃ) ০৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ০৬ (ছয়) নম্বর পুনঃ ০৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৬ (ছয়) নম্বর পুনঃ ০৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
সুপার সাইক্লোন আম্ফান বাংলাদেশ ও ভারত উপকূলের আরও কাছে সরে এসেছে। ক্যাটাগরি পাঁচ মাত্রার হারিকেনের শক্তি সম্ফন্ন এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ইতোমধ্যে ভারতের উড়িষ্যায় ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যা উপকূল থেকে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিচ্ছে ভারত। আবহাওয়াবিদদের বরাতে আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, প্রবল এই ঝড়ের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে পশ্চিমবঙ্গের সাতটি জেলা।
ভারতের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আমফানের প্রভাবে বুধবার সকাল থেকেই প্রবল ঝোড়ো হাওয়া শুরু হবে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে ঝড়ের গতিবেগ সাধারণত ঘণ্টায় ১৬৫ থেকে ১৭৫ কিমি থাকবে। তবে সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার পর্যন্তও হতে পারে দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। তবে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিমি হতে পারে। সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ১২০ কিমি।
ঝড়ের সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দফতর। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদসহ গঙ্গার তীরবর্তী জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে উপকূলবর্তী এলাকায় প্রবল জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কার কথাও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। দুই ২৪ পরগনায় ৪ থেকে ৫ মিটার পর্যন্ত সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকায় ৩ থেকে ৪ মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদরা। জলোচ্ছ্বাসের জেরে নিচু এলাকা জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ