Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘আমফান’ চট্টগ্রামে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত, করোনা বিড়ম্বনা

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০২০, ২:১১ পিএম

ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’ থেকে উপকূলের বাসিন্দাদের জীবন রক্ষায় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে লোকজনকে সেখানে নেওয়ার ক্ষেত্রে বিড়ম্বনা দেখা দিয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আসার পর সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে উপকূলের বাসিন্দাদের রাখা যাবে কি না তা নিয়েও রয়েছে সংশয়।
তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এব্যাপারে সর্তকতা অবলম্বন করতে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। করোনা সংক্রমণের ভয় আর পবিত্র মাহে রমজানের মধ্যেও সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের তা-ব থেকে জীবন রক্ষায় মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।
দুর্যোগের ঘনঘটায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা, কাট্রলী, হালিশহর, কর্ণফুলী, আনোয়ারা, বাঁশখালী, সীতাকু-, মীরসরাই, সন্দ্বীপসহ উপকূলীয় জনপদে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। সিটি কর্পোরেশন, ইউনিয়ন পরিষদ, প্রশাসনের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাশপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছেন।
আমফান আঘাত হানার আগেই চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে সরিয়ে নিতে ৩ হাজার ৯৯৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করার নির্দেশনা দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এসব আশ্রয়কেন্দ্রে সামাজিক দূরত্ব মেনে উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে রাখা হবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৪৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও ২ হাজার ২৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১ হাজার ২৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে তৈরি করে এসব প্রতিষ্ঠানের চাবি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের প্রতিবেদন অনুযায়ী সম্ভাব্য দুর্যোগে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রায় ২৯ মেট্রিক টন চাল, ২ লাখ ২০ হাজার নগদ টাকা, ১৩৩ বান্ডিল ঢেউটিন, ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ৫০০টি তাঁবু মজুদ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও ১ হাজার মেট্রিক টন চাল, ৫০ লাখ টাকা, ২০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ৫০০ বান্ডিল ঢেউটিন বরাদ্দ চেয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের উদ্যোগে ২৮৪টি মেডিক্যাল টিম, ২ লাখ পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, দেড় লাখ খাবার স্যালাইন ও পর্যাপ্ত জরুরি ওষুধ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচীর (সিপিপি) ৬ হাজার ৬৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক, রেডক্রিসেন্টের ৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ছাড়াও বিএনসিসি এবং স্কাউটের স্বেচ্ছাসেবক মাঠে রয়েছে।
মাঠে থাকা ফসল যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরকে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিতে তাগিদ দেওয়ার পাশাপাশি কৃষকের পাকা ধান দ্রুত কেটে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
লোকজনকে ঘর-বাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কন্ট্রোল রুমও চালু করা হয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি মোকাবেলায় পৃথক কন্ট্রোল রুম খুলেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আবহাওয়া

২৯ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ