Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মসলার বাজার ‘গরম’

আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কম বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরও দাম কমেনি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০২০, ১২:০১ এএম

আন্তর্জাতিক বাজারে মসলার দাম কমে গেলেও বাংলাদেশে ঈদ উপলক্ষ্যে গরম মসলার বাজার এখন ‘গরম’। এক মাস আগে বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে সব ধরনের মসলার দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু সে সিদ্ধান্ত ‘কাজীর গরু কেতাবে আছে গোয়ালে নেই’ প্রবাদের মতো অবস্থা। ঈদ উপলক্ষ্যে খুচরা বাজারে সব ধরনের মসলার দাম বেড়ে গেছে। গতকাল বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
রমজান উপলক্ষ্যে দেশের মসলার পাইকারি ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে সব ধরনের মসলার দাম ১০ থেকে ২৫ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দেয়া হয়। ঘোষণার পরও খুচরা বাজারে তার কোনো প্রভাব পড়েনি। বরং খুচরা বাজারে এক মাস আগের তুলনায় সব ধরনের মসলা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, মাসের ব্যবধানে সব ধরনের মসলার দাম না কমার কারণ নেই।
গতকাল রাজধানীর কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে ঈদ উপলক্ষ্যে সব ধরনের মসলার দাম বাড়তি। মসলার দাম কমার বদলে বৃদ্ধির কারণ হিসেবে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, মসলার দাম কমার তথ্য গণমাধ্যমের খবরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। বাস্তবে পাইকারি বাজারে কোনো ধরনের মসলার দাম কমেনি। করোনাভাইরাস প্রকোপের মধ্যে সব ধরনের মসলার দাম বেড়ে যায়, এখনও সেই বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে।
গত ১৩ মে সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিনের সঙ্গে মসলা ব্যবসায়ী সমিতির ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠক করেন। বৈঠকের পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর গরম মসলার দাম ১০ থেকে ২৫ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ পাইকারি গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতি। এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) মো. ওবায়দুল আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় গরম মসলার আন্তর্জাতিক বাজার ও বাংলাদেশে আমদানি মূল্য পর্যালোচনা করা হয়।
পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের পাইকারি মসলা ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন করা হলে বন্দরে মসলার চালান আটকে যায়। এতে মসলার দাম বেড়ে গেছে। তবে এখন মসলার চালান দেশে প্রবেশ স্বাভাবিক হয়েছে। যে কারণে জিরা বাদে সব ধরনের মসলার দাম কমেছে। তাদের দাবি, খুচরা ব্যবসায়ীরা সঠিক কথা বলছেন না। অনেক খুচরা ব্যবসায়ী আগের বাড়তি দামে কেনা মেমো দোকানে রেখে দেন। পরবর্তীতে কম দামে কেনার পরও তারা তা সমন্বয় করেন না। কম দামে কেনা পণ্যের মেমো তারা সরিয়ে রাখেন।
জানতে চাইলে রাজধানীর মৌলভীবাজারের মসলার পাইকারি প্রতিষ্ঠান রুবেল ট্রেডিংয়ের মালিক মো. রুবেল হোসেন বলেন, পাইকারিতে জিরা ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এলাচ বিক্রি হচ্ছে ২৯০০ থেকে ২৯৫০ টাকা কেজি দরে। দারুচিনি ৩১০ থেকে ৩৭০ টাকা এবং লবঙ্গ ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনে বলা হয়, এক মাসের ব্যবধানে সব ধরণের মসলার দাম বেড়েছে। লবঙ্গের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও জিরার দাম বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এছাড়া দারুচিনির ৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং এলাচের ৪ শতাংশ দাম বেড়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মসলা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ