Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মুরগি-মসলার দাম চড়া

পেঁয়াজে ফিরেছে স্বস্তি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ মে, ২০২০, ১২:০১ এএম

দেশে করোনার প্রথম দিকে খামারিরা মুরগি বিক্রি করতে না পেরে একদিনের বাচ্চা মেরে ফেলিছিল। ফলে বর্তমানে মুরগি সরবরাহে টান দেখা দেয়। যে ব্রয়লার মুরগি এপ্রিলেও রাজধানীর বাজারে ১০০ কেজি দরে বিক্রি হতো, তা বর্তমানে পৌঁছেছে ১৬০ টাকা কেজিতে। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪৫০ টাকা কেজি। গরুর গোশত কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা। আর খাসির গোশতের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৯০০ টাকা কেজি দরে

এদিকে গরমমসলার খুচরা বাজারেও বাড়তি অব্যাহত রয়েছে। রোজায় দফায় দফায় কমছে পেঁয়াজের দাম। দুই দিনের ব্যবধানে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে পাঁচ টাকা। আর মাসের ব্যবধানে কমেছে ১৫ টাকা পর্যন্ত।

ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০- ৪৫ টাকা, এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪৫-৫০ টাকা। আর এক মাস আগে ছিল ৫০-৫৫ টাকা। অপরদিকে আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০-৪৫ টাকা এবং এক মাস আগে ছিল ৫০-৫৫ টাকা।

এদিকে দফায় দফায় দাম বেড়ে শুকনা মরিচের কেজি এখন ৪০০ টাকায় পৌঁছেছে। বিভিন্ন বাজারে দেশি শুকনা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৫০-৩০০ টাকা এবং এক মাস আগে ছিল ২০০-২৫০ টাকা। আর আমদানি করা শুকনা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৩০০-৩৫০ টাকা।

সপ্তাহ ও মাসের ব্যবধানে শুকনা মরিচের দাম বাড়ার তথ্য উঠে এসেছে টিসিবির প্রতিবেদনেও। সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটির হিসাবে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি করা শুকনা মরিচের দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আর মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। অপরদিকে দেশি শুকনা মরিচের দাম মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ২২ দশমিক ২২ শতাংশ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, রোজায় দারুচিনি, ধনে, তেজপাতা, হলুদসহ সব ধরনের মসলার দাম বাড়ে। তবে শুকনা মরিচের দাম দফায় দফায় বাড়ছে। রোজার মধ্যেই শুকনা মরিচ কেজিতে ১০০ টাকার ওপরে বেড়েছে। আমরা বুঝতে পারছি না শুকনা মরিচের দাম কেন এতো দাম বাড়ছে।

এদিকে বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাকরোলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা। এটিই এখন বাজারের সব থেকে দামি সবজি। এছাড়া শসা ৩০-৪০ টাকা, বেগুন ৬০-৮০ টাকা, পাকা টমেটো ৩০-৫০ টাকা, চিচিংগা ৪০-৫০ টাকা, পটল ৪০-৫০ টাকা, কচুর লতি ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ৩০-৫০ টাকা, করলা ৩০-৪০ টাকা, বরবটি ৪০- ৫০ টাকা, ঝিঙা ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

মাছ বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগের মতোই রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০-৫০০ টাকা। নলা (ছোট রুই) মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০-২০০ টাকা কেজি। তেলাপিয়া ১৩০-১৭০ টাকা, পাঙাশ ১৪০-১৮০ টাকা কেজি, শিং ৩০০-৪৫০ টাকা, শোল মাছ ৪০০-৭৫০ টাকা, পাবদা ৪৫০-৬০০ টাকা, বোয়াল ৫০০-৮০০ টাকা, টেংরা ৪৫০-৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মুরগি-মসলা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ