বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শেরপুর জেলা সদরে ঈদ বাজারগুলোতে মানুষের ঢল নামছে। সকাল হলেই মানুষ ভিড় করছে বিভিন্ন কাপড়ের দোকান, গার্মেন্টস, জুতার দোকান ও মোবাইল সপিং সেন্টারসহ বিভিন্ন সপিং সেন্টারে। পরিস্থিতি দেখে বুঝার কোন উপায় নেই যে দেশে করোনার প্রকোপ আছে। বিভিন্ন সপিং সেন্টার ও দোকান পার্টে নেই স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কোন ব্যবস্থা। আর ক্রেতাদের মধ্যেও নেই কোন সামাজিক ও শারিরিক দূরত্ব মানার কোন মানসিকতা। এতে করে জেলায় করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন সবাই।
এখানে স্বেচ্ছাসেবকসহ সবাই হিমশিম খাচ্ছে মানুষেকে নিয়ন্ত্রন করতে। তারাও এখন হতাশ। পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রনের বাইরে। তারাও করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন।
সরকারী নির্দেশনা মেনে সীমিত আকারে দোকান পার্ট খোলার জন্য নির্দেশনা পাওয়ার পর ১০ মে জেলার বিভিন্ন মার্কেট খুলে দেয়া হয়। সেখানে সরকারী নির্দেশনা না মানায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এতে শেরপুর জেলা চেম্বার অব কমার্স ১২ মে থেকে আবার দোকান পার্ট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তাদের নির্দেশনা না মেনে আবার দোকান পার্ট খুলে দেয় ব্যবসায়ীরা। ফলে চেম্বার অব কমার্স তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সরকারী নির্দেশনা মেনে দোকান পার্ট খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু নির্দেশনা মানার কোন নিদর্শন নেই মার্কেট গুলোতে। এ বিষয়ে শেরপুর চেম্বার কর্মকর্মা বা সরকারী দায়িত্বশীল কোন কর্মকর্তা ক্যামেরার সামনে বা ফোনে কোন কথা বলতে রাজি হননি। তবে তারা হতাশা প্রকাশ করেছেন।
এবিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সিভিল সার্জন ডা: একেএম আনওয়ারুর রউফ জানান, মানুষ যদি বাঁচতে চায় তবে তাদেরকে ঘরে থাকতে হবে। তা-না হলে করোনার হাত থেকে বাঁচা আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে না।
জেলার সচেতন মহলও জেলা প্রশাসনকে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান। জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব জানিয়েছেন তিনি দ্রুত ব্যবসায়ী নেতাদের ডেকে মিটিং করে কার্যকরী সিদ্ধান্ত নেবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।