Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধেয়ে আসছে আম্ফান, লাখ লাখ মানুষকে সরিয়ে নিচ্ছে ভারত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০২০, ৩:৪৮ পিএম

ভারতের পূর্ব-উপকূলীয় এলাকায় আছড়ে পড়তে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে নিতে এরই মধ্যে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এই ঝড়ের সম্ভাব্য তাণ্ডবের আশঙ্কায় লাখ লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে ভারত। দেশটিতে করোনাভাইরাস মহামারির জরুরি সেবাগুলোর ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করেছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। লাখ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেয়া শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে অতিপ্রবল থেকে সুপার সাইক্লোনে রূপ নিতে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাতের আশঙ্কায় ভারতের পূর্ব-উপকূলীয় এলাকা থেকে লাখ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এছাড়া বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
করোনা মহামারিতে বিশ্বের দীর্ঘমেয়াদি লকডাউনের কবলে থাকা ভারতে ওডিশ্যা, পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়টি আগামী বুধবার আঘাত হানতে পারে বলে দেশটির আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে।
ভারতের করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৯৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে; যা করোনার উৎপত্তিস্থল চীনের চেয়ে বেশি। এছাড়া মারা গেছেন ৩ হাজার ২৯ জন। করোনার বিস্তারের গতিতে লাগাম টানতে গত ২৫ মার্চ থেকে লকডাউন চলায় দেশটির কোটি কোটি মানুষ মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এর মাঝেই ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডবের শঙ্কা মরার ওপর খাড়ার ঘা হিসেবে হাজির হয়েছে।
ওডিশ্যা এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের সরকার উপকূলীয় এলাকাগুলো থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়ার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা টিম মোতায়েন করেছেন। এই ঘূর্ণিঝড় আগামী ১২ ঘণ্টা আরও শক্তি সঞ্চয় করে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় থেকে সুপার সাইক্লোনে রূপ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ, ওডিশ্যা এবং বাংলাদেশের খুলনা ও চট্টগ্রাম উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে।
সুপার সাইক্লোনে রূপ নিলে এই ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২২০ থেকে ২৬৫ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যেতে পারে। যা বাংলাদেশে ২০০৭ সালের নভেম্বরে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় সিডরের গতিবেগের চেয়ে বেশি।

আম্ফানের আঘাত কোথায় কখন?
সোমবার সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ১৯ মে শেষরাত থেকে ২০ মে বিকেল অথবা সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়টি দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে আম্পান। এটি সোমবার সকালের দিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ১ হাজার ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
সোমবার শেষরাত থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ