মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আসন খালি না থাকায় নিউজিল্যান্ডের একটি ক্যাফে থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয় প্রধানমন্ত্রী জ্যাসিন্ডা আর্ডেনকে। পরে প্রায় ১৫ মিনিট পরে আসন খালি হলে তাকে ডেকে ভেতরে নেয়া হয়। শনিবার এক প্রতিবেদনে এই ঘটনার কথা জানায় জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড।
নানাবিধ মানবিক কারণে জ্যাসিন্ডা আর্ডেন এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। বিশেষ করে ক্রাইস্টচার্চে যখন দুটি মসজিদে গুলি চালিয়ে সন্ত্রাসী ব্রেন্টন মুসলিমদের হত্যা করে, তখন তিনি যেভাবে মুসলিমদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তাতে সারাবিশ্বে তিনি প্রশংসিত হয়েছেন। গত শনিবার আর্ডারন এবং তার স্বামী ক্লার্ক গেইফোর্ড রাজধানী ওয়েলিংটনে অবস্থিত ক্যাফে অলিভে খেতে গিয়েছিলেন। তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছিল কারণ সামাজিক দূরত্বের আওতায় তাদের আসনগুলো পরিপূর্ণ ছিল। ওই ক্যাফেতে আসন নির্ধারণ করা ছিল ১০০টি। এর সবটা ছিল মানুষে ভর্তি। অগত্যা জাসিন্দা আরডেনকে তাৎক্ষণিকভাবে ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয় নি। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে তিনি স্বামীসহ রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। পরক্ষণেই একটি টেবিল খালি হয়। সঙ্গে সঙ্গে একজন ম্যানেজার তাদেরকে ফিরিয়ে আনেন।
দেশের প্রধানমন্ত্রী হলেও ক্যাফেতে প্রবেশে অগ্রাধিকার নেই, এমন বিষয়টি প্রায় সব গণমাধ্যমেই এসেছে। পরে এক টুইটে আর্ডেনে স্বামী ক্লার্ক গেফোর্ড বাইরে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য মানুষের ভিড়ের ছবি পোস্ট করে বলেন, ‘এর জন্য দায় আমাদের। আমি তো আগে থেকে বুকিং দিয়ে যাই নি বা সংগঠিত উপায়ে যাই নি। যখন আসন খালি হয়েছিল তখন তারা আমাদেরকে নিয়ে সেখানে বসায়। এটা একটা ইতিবাচক সেবা।’ প্রধানমন্ত্রীর অফিসের মুখপাত্র বলেছেন, ‘ক্যাফের বাইরে অপেক্ষা করা যে কারো জন্য অভিজ্ঞতার, বিশেষ করে যখন নিউজিল্যান্ডে ভাইরাস নিয়ে বিধিনিষেধ আছে। প্রধানমন্ত্রী অন্য সবার মতোই আচরণ করেছেন।’
নিজের নাম প্রকাশ না করে ওই ক্যাফের মালিক নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডকে বলেছেন, ‘জ্যাসিন্ডা আর্ডেনের জন্য কোনো ব্যতিক্রম ব্যবস্থা করা হয় নি। ভিতরে আসন খালি না থাকায় জ্যাসিন্ডা ও তার স্বামী গেফোর্ডকে প্রথমে ক্যাফের ম্যানেজার ফিরিয়ে দেন। কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যে একটি টেবিল ফাঁকা হয়। এ সময় ওই ম্যানেজার পিছন থেকে দৌড়ে গিয়ে তাদেরকে ফিরিয়ে আনেন। আধা ঘন্টা ভিতরে অবস্থান করে তারা চলে যান। এ সময় তাদের আচরণ ছিল অমায়িক। সব স্টাফের সঙ্গে ভালবাসাপূর্ণ আচরণ দেখিয়েছেন। আর জাসিন্দার সঙ্গে স্টাফরা আচরণ করেছেন একজন সাধারণ কাস্টমারের মতো।’ তবে এদিন প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা কি কি খাবার অর্ডার করেছিলেন তার তালিকা প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। এ সময়ে তাদের সঙ্গে ২৩ মাস বয়সী মেয়ে নিভি ছিল না। সূত্র : নিউজ উইক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।