Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গার্মেন্ট খাত নিয়ে অনন্তর গঠনমূলক বক্তব্যের ভিডিও প্রশংসিত

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০২০, ১২:০৩ এএম

জনপ্রিয় চিত্রনায়ক, প্রযোজক এবং বিশিষ্ট শিল্পপতি অনন্ত জলিলের যে কোনো বিষয়ের প্রতি ভক্তদের ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। ফলে চলচ্চিত্রের বাইরেও তিনি কি করেন বা বলেন, তার প্রতি তাদের তীক্ষ্ণ নজর থাকে। অর্থাৎ তারা অনন্তকে সবসময় তাদের নজরের মধ্যে রাখেন। অনন্তও তার মানবিক কার্যক্রম এবং গঠনমূলক কথা ও পরামর্শের মাধ্যমে তার কাজ চালিয়ে যান। সম্প্রতি দেশের গার্মেন্ট খাতের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে একজন শিল্পপতি হিসেবে সাড়ে ১৬ মিনিটের বক্তব্য একটি ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেন। গত ১৩ মে ভিডিওটি তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেন। এরপর থেকে ব্যাপক সংখ্যক ভিউয়ার্স দেশের অর্থনীতি এবং গার্মেন্ট খাতের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত নিয়ে তার গঠনমূলক বক্তব্য সমৃদ্ধ ভিডিওটি দেখেন। তিন দিনেই ভিডিওটির ভিউ হয়ে দাঁড়ায় দেড় লাখের বেশি। এ ভিডিওতে দেখা যায়, অনন্ত গার্মেন্ট খাতের বিস্তারিত তথ্য লিখিত আকারে তুলে ধরে পাঠ করে শোনান। এতে তিনি গার্মেন্ট খাতের সমস্যা, প্রতিকূল পরিস্থিতি, কর্মসংস্থান এবং এ খাতের উন্নয়নসহ অন্যান্য নানা দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, অনেকে গার্মেন্ট মালিকদের নিয়ে নেতিবাচক কথা বলেন। অথচ তারা একবারও ভেবে দেখেন না, দেশের রপ্তানি খাতের এক নম্বর খাত এই গার্মেন্ট শিল্প। রপ্তানির প্রায় ৮৪ ভাগই আয় হয় এই খাত থেকে। যারা দেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রে এত বড় ভূমিকা রাখছেন, তাদের নিয়ে এমনসব নেতিবাচক কথা বলছেন এমনসব মানুষ, দেশের অর্থনীতিতে যাদের কোনো ভূমিকাই নেই। তিনি গার্মেন্টসের কর্মপরিবেশ নিয়ে অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্সের অনেকটা নিপীড়নমূলক আচরণের বিস্তারিত বিবরণ দেন। তাদের কারণে কত গার্মেন্ট মালিক কারখানা বন্ধ করে দিয়েছেন, এ কথাও উল্লেখ করেন। একটি গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কত পরিশ্রম করতে হয়, তার বর্ণনা দেন। রানা প্লাজা ধ্বসের পর থেকে এ খাতের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেন। বিদেশি বায়াররা কী ধরনের আচরণ করে এবং পোশাক উৎপাদনের খরচ বেড়ে গেলেও তারা যে দাম বাড়ায় না, এ কথাও তুলে ধরেছেন। বলেছেন, এ খাত টিকিয়ে রাখতে দেশের গার্মেন্ট মালিকরা দিন-রাত পরিশ্রম করে চলেছেন। তাদের পরিশ্রমের কারণে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান এ খাতে হচ্ছে। যারা গার্মেন্ট মালিকদের নিয়ে সমালোচনা করেন, তারা কি একজন মানুষেরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেন? তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, আমার এজেআই গ্রুপে এখন ১১ হাজার মানুষ কাজ করে। আগামী এক বছরের মধ্যে আরও ৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এই ১৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান এজেআই গ্রুপ করছে। যারা সমালোচনা করেন, তারা কি এ কাজটি করতে পারছেন? অনন্ত বলেন, অর্থনীতিকে গতিশীল ও টিকিয়ে রাখতে গার্মেন্ট খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। প্রবাসের আমাদের শ্রমিক ভাইয়েরাও দেশের অর্থনীতিতে বিপুল ভূমিকা রাখছে। কাজেই যে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য করার আগে প্রত্যেকের উচিৎ নিজস্ব অবস্থান বিবেচনা করে মন্তব্য করা। এছাড়া দেশের অর্থনীতির অন্যান্য বিষয় নিয়ে অনন্ত তথ্য-উপাত্তসহ বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন। তারা এই ভিডিওটি এখন নেট দুনিয়ায় বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সচেতন মানুষকে ভাবাচ্ছে। তারা বলছেন, করোনাকালে অর্থনীতির এই দুঃসময়ে অনন্তর গঠনমূলক এই বক্তব্য অত্যন্ত প্রশংসনীয়। অনেকে বলছেন, অনন্ত শুধু একজন শিল্পপতি ও চিত্রনায়কই নন, তিনি একজন দেশদরদী ও জনহিতাকাক্সক্ষী মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন মানুষ যিনি শুধু নিজের চিন্তা নিয়ে থাকে না, দেশ এবং জনগণের কল্যাণ চিন্তাও করেন। তার এ ভিডিওটি শুধু তার ভক্তদেরই নয়, সবশ্রেণীর মানুষকে ছুঁয়ে গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ