মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দুই তৃতীয়াংশ মার্কিনি বিশ্বাস করেন, করোনা ঈশ্বর পাঠিয়েছেন। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৩১ শতাংশ মার্কিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন ঈশ্বর মানবসমাজকে জীবন-যাপনের ধরণ পাল্টাতে বলেছেন। একই সংখ্যক মার্কিনি এটিকে ইশ্বরেরই এক ধরনের বার্তা বলে মনে করেছেন। -দ্য গার্ডিয়ান
যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় ৮৭ হাজারেরও বেশি প্রাণ হারিয়েছেন। চাকরি হারিয়েছেন লাখো মার্কিনি। ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো ডিভিনিটি স্কুল ও এসোসিয়েট প্রেস-এনওআরসি সেন্টার ফর পাবলিক এফেয়ার্স রিসার্চ বলছে, করোনা সংক্রমণ মহামারীর পেছনে গভীর তাত্ত্বিক বিষয়গুলো ভাবছেন মার্কিনিরা।
ধর্মীয় নিয়মকানুন অতটা পালন করেন না, তারাও মনে করেন এই ভাইরাসের পেছনে মানবজাতির জন্য একটি বড়সড় বার্তা থাকতে পারে। পেনসেলভেনিয়ার অধিবাসী লেন্স ডিজিসুস বলেন, এটি একটি সংকেত। যে, তোমরা এক হও। আমি আসলে ঠিক জানি না। দেখে মনে হচ্ছে একটি নির্দেশে সবকিছু পাল্টে যাচ্ছে।
ইভেঞ্জলিক্যাল প্রোস্টেটান পন্থীরা এটিকে অন্যদের চেয়ে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন। ২৮ শতাংশ ক্যাথলিক ও মূল ধারার প্রোটেস্টানের বিপরীতে এই ধারণায় বিশ্বাস করেন ৪৩ শতাংশ ইভেঞ্জলিক্যাল। অন্যদিকে অন্য বর্ণের মানুষেদের চেয়ে কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানরা বেশি বিশ্বাস করেন যে, ইশ্বর মানবসমাজকে শিক্ষা, আয় ও লিঙ্গের বিষয়ে পরিবর্তন আনার বার্তা দিচ্ছেন। ২৭ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ আমেরিকান ও ৩৭ শতাংশ ল্যাটিন আমেরিকানদের বিপরীতে ৪৭ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ বলেছেন, তারা দৃঢ়ভাবে করোনাকে ইশ্বরের সংকেত বলে মনে করেন।
যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ মহামারীতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানরা। সামাজিক বৈষম্য বেড়েছে, সংখ্যালঘুরা আরো দুর্বল হয়েছে।
১১ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ ও ১৩ শতাংশ ল্যাটিনোর বিপরীতে ঈশ্বরের ওপর বিশ্বাস করা ২৭ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান বলেছেন ভাইরাসের কারণে তাদের ইশ্বরের অস্তিত্বের ওপর সন্দেহ তৈরি হয়েছে। তবে এই ভাইরাস সামগ্রিকভাবে আমেরিকানদের ইশ্বরে বিশ্বাসের ওপর অতটা পরিবর্তন আনতে পারে নি। ২ শতাংশ আমেরিকান বলেছেন, তারা আগে ঈশ্বরে বিশ্বাস না করলেও এখন বিশ্বাস করেন। আর ১ শতাংশেরও কম আমেরিকান বলেছেন, তারা পূর্বে ঈশ্বরে বিশ্বাস করলেও এখন তা করেন না।
করোনা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষায় বেশিরভাগ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ৮২ শতাংশ আমেরিকান বলেছেন, তারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করেছেন, ২৬ শতাংশ বলেছেন করোনার পর ঈশ্বরের ওপর তাদের বিশ্বাস বেড়েছে, ১ শতাংশ বলেছেন এটি দুর্বল হয়েছে। ৫৫ শতাংশ আমেরিকান বিশ্বাসী বলেছেন, তারা মনে করছেন যে কিছু একটা আছে যার মাধ্যমে ইশ্বর তাদের সংক্রমিত হওয়া থেকে রক্ষা করেছেন।
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ম শিক্ষার অধ্যাপক ক্যাথরান লোফটন বলেন, ‘মানুষ মনে করছে তারা যদি পরিবর্তন না হয় এই দুর্ভোগ চলতে থাকবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।