মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউরোপের একের পর এক বড় বড় দেশ যখন করোনা মোকাবিলা করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে, তখন পথ দেখাল ছোট একটি দেশ স্লোভেনিয়া। ইউরোপের প্রথম দেশ হিসাবে শুক্রবার নিজেদেরকে করোনামুক্ত বলে ঘোষণা করল তারা।
স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী জ্যানেজ জানসার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই ঘোষণা করা হয়। তিনি বলেন, ইউরোপে আজ পর্যন্ত করোনা মহামারীতে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় রয়েছে । যা সাধারণভাবে আমাদের মহামারি ঠেকাতে সক্ষম করেছে। প্রশাসনের তরফে জানান হয়েছে, স্লোভেনিয়াতে সব কিছুই এখন স্বাভাবিকভাবে চলবে। বাস, ট্রেনসহ সব ধরনের গণপরিবহন পথে নামবে। এমনকি রাজধানী লুবলিয়ানাতে অবস্থিত দেশটির একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইয়োজে পুচনিক ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকেও ফ্লাইট চলাচলের ব্যাপারে এখন থেকে আর কোনও নিষেধাজ্ঞা রইল না।
সব ধরনের বার, রেস্তোরাঁ, কফিশপ ইতিমধ্যে খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি আগামী সোমবার থেকে স্লোভেনিয়াতে করোনাভাইরাসের কারণে যে সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছিল, সেসব প্রতিষ্ঠানকে পুনরায় চালু করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অনেক শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানই আগামী সোমবার থেকে খুলতে যাচ্ছে।
এছাড়াও নির্দিষ্ট কিছু পয়েন্টে প্রতিবেশি দেশ যেমন- ইতালি, অস্ট্রিয়া, ক্রোয়েশিয়া এবং হাঙ্গেরির সঙ্গেও স্লোভেনিয়ার সীমান্ত সংযোগ পুনরায় খুলে দেয়ার কথা জানান হয়েছে। এখন থেকে চাইলে অন্যান্য দেশের নাগরিকেরা স্লোভেনিয়ার রুট ব্যবহার করতে পারবেন। তবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশের নাগরিক নন এমন কেউ যদি স্লোভেনিয়ায় প্রবেশ করেন তাহলে তাকে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
এই ঘোষণার পর দেশটিতে বসবাসরত নাগরিকদের জীবনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। অনেক নাগরিককেই উল্লাসে মেতে উঠতে দেখা গেছে। তবে জ্যানেজ জানসার মনে করিয়ে দিয়েছেন, পরিস্থিতি যতোই স্বাভাবিক হোক না কেনও এখনও আশঙ্কা কিছুটা হলেও রয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে মানুষ যদি যথার্থ সতর্কতা অবলম্বনের বিষয়টি মাথায় না রাখেন তাহলে যে কোনও সময় গত শতাব্দীর দ্বিতীয় ধাপে স্প্যানিশ ফ্লু-এর মতো মহামারী পরিস্থিতি স্লোভেনিয়াতে আবারও তৈরি করতে পারে করোনাভাইরাস।
স্লোভেনিয়ার জনসংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। সেখানে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ৪ মার্চ। জানা যায়, ওই ব্যক্তি প্রতিবেশী ইতালি থেকে স্লোভেনিয়ায় আসেন। পরে ১২ মার্চ দেশজুড়ে মহামারী ঘোষণা করা হয়। স্লোভেনিয়ায় এখনও পর্যন্ত ১ হাজার ৪৬৭ জন করোনা রোগী পাওয়া গিয়েছে এবং মারা গিয়েছেন ১০৩ জন। তবে গত দু’সপ্তহ ধরেই দেশটিতে দৈনিক ৭ জনেরও কম মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ২০ এপ্রিল থেকেই লকডাউন শিথিল করতে শুরু করেছিল স্লোভেনিয়া। সূত্র: নিউজ উইক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।