পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঈদকে সামনে রেখে সক্রিয় জাল টাকার কারবারি চক্র। রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় প্রায় শতাধিক গ্রুপ এখন মাঠে। এরই মধ্যে টার্গেটকৃত জাল নোট বাজারে ছাড়ার চেষ্টা করছে তারা। এসব জাল নোট তৈরী ও বিপণনের সঙ্গে জড়িতরা মাঝে মধ্যেই র্যাব, পুলিশ, ডিবিসহ গোয়েন্দা সংস্থার হাতে গ্রেফতার হচ্ছে। আবার খুব সহজেই কারাগার থেকে জামিনে ছাড়াও পেয়ে পুনরায় একই পেশায় নিয়োজিত হচ্ছে।
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাল টাকার বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কার্যক্রম এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মনিটরিং শক্তিশালী করা প্রয়োজন। জড়িতদের আরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে আইনের সংশোধন করা যেতে পারে।
গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, করোনার কারণে পুলিশের অন্যান্য অভিযান অনেকটা কমলেও জাল টাকা তৈরি ও বাজারজাতকারী চক্রের সাথে জড়িত অপরাধীদের বিষয়ে নজরদারী অব্যাহত রয়েছে।
র্যাবের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি সময়ে জাল টাকা বাজারে ছাড়ার সাথে জড়িত বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে এদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে জাল টাকার এজেন্টদের সম্পর্কে তথ্য পেয়েছে র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। এ সব তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে র্যাবের সকল ইউনিট সক্রিয় রয়েছে। গত ৫ মে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সড়কের বাজার থেকে লিটন মিয়া (৩২) নামের এক যুবককে আটক করে র্যাব। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় এক লাখ চার হাজার টাকার জাল নোট। লিটন মিয়া সিলেটে জাল নোট কারবারি চক্রের সক্রিয় সদস্য। এদের সাথে ঢাকার জাল টাকা চক্রের সর্ম্পক রয়েছে। বিষয়গুলো তদন্ত করা হচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন।
সুত্র জানায়, গত ১০জানুয়ারি নগরীর অভিযাত এলাকা ধানমন্ডি-৭/ই এর একটি বাড়ির তিন তলার এক ফ্ল্যাটে জাল টাকা তৈরীর কারখানার সন্ধন পায় র্যাব। এসময় ওই বাসার একটি কক্ষে থাকা ওয়ারড্রপ ও খাটের নিচ থেকে কয়েক কোটি জাল টাকা, টাকা তৈরির কাগজ, প্রিন্টার, টোনার, কেমিকেল, ডায়াসসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। আর উদ্ধারকৃত জাল টাকাগুলো ৫০০ এবং ১০০০ হাজার টাকার নোট ছিল। এই জাল টাকা তৈরির সঙ্গে জড়িত থাকায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে র্যাব। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সাইফুল ইসলাম ও শাহ আলম।
অভিযানের পর র্যাব-১০এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি কাইয়ুমুজ্জামান বলেছিলেন, ১০জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী এলাকা ১ লাখ ৯০ হাজার জাল টাকাসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে র্যাব। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পশ্চিম ধানমন্ডির সাইফুলের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযানে ওই বাসার ওয়ারড্রপ ও খাটের নিচ থেকে জাল টাকা ও টাকা তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করে র্যাব।
তিনি আরো জানা, জাল টাকার কারিগর সাইফুল ইসলাম গত ২০১৪ সালে ধানমন্ডিতে দুই রুমের বাসা ভাড়া নিয়ে জাল টাকা তৈরীর কাজ শুরু করে। সেখানে তিনি তার স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। আর সূর্য গড়িয়ে সন্ধ্যা হলেন তিনি তৈরি করতেন কোটি কোটি টাকার জাল নোট। এরপর তার নিজস্ব ও বিশ্বস্ত বিপণনকারীদের হাতে এসব টাকা তুলে দিতেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।