Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কানাডার কাছে বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরীকে ফেরত চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ মে, ২০২০, ১:২৭ পিএম

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি কানাডায় অবস্থানরত নূর চৌধুরীকে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কানাডা সরকারের প্রতি অনুরোধ জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। বুধবার সন্ধ্যায় কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাসোয়াঁ ফিলিপ শ্যামপেইন এর সাথে ফোনে আলাপকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ অনুরোধ করেন। ড. মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে খুনি নূর চৌধুরীর দেশে ফেরত এনে বিচারের রায় কার্যকর করতে পারলে তা হবে এদেশের জনগণের জন্য বড় প্রাপ্তি।
এসময় কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী করোনা পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি জোট গঠনের প্রস্তাব দেন। এ জোট বিশ্বব্যাপী করোনার চ্যালেঞ্জ মোকবিলায় সহায়ক হবে বলে কানাডা পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তাছাড়া যেকোন সংকটে কানাডা বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে এ সময় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন শ্যামপেইন।
বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসনের বিষয়টি ´সকলের দায়িত্ব´ উল্লেখ করে এ বিষয়ে কানাডার সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের সাথে আলোচনা অব্যাহত রেখেছেন বলেও জানান। এসময় শ্যামপেইন রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানের মাধ্যমে বাংলাদেশ যে উদারতা ও মানবিকতা দেখিয়েছেন তার প্রশংসা করেন।
ড. মোমেন কানাডায় অবস্থারত বাংলাদেশি ছাত্রদের বর্তমান পরিস্থিতিতে টিউশন ফি মওকুফসহ সব ধরনের সহযোগিতার অনুরোধ করেন। এছাড়া তিনি করোনা পরিস্থিতির কারণে চাকরি হারিয়ে বিদেশ থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশি শ্রমিকদের পুনর্বাসনে কানাডার সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি করোনা পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হলে দেশের দুস্থদের খাদ্য সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে কানাডার সহায়তা চান।

বিভিন্ন দেশ থেকে ক্রয়াদেশ বাতিল হওয়ায় দেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গার্মেন্ট সেক্টর সমস্যাসংকুল উল্লেখ করে বর্তমান পরিস্থিতিতে গার্মেন্ট খাতের বড় আমদানিকারক দেশ কানাডার সহায়তা কামনা করেন ড. মোমেন। তিনি বলেন, এ খাতে কর্মরত প্রায় ৪০ লক্ষ শ্রমিক কর্মজীবন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে, যাদের অধিকাংশ নারী।
বাংলাদেশের আইটি সেক্টরে বিপুল সংখ্যক সম্ভাবনাময়ী ও মেধাবী তরুণ পেশাজীবী নিয়োজিত রয়েছে উল্লেখ করে খাতে কানাডাকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ আহবান জানান ড. মোমেন। তাছাড়া দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে কানাডাকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি। কৃষির উন্নয়নে কানাডাকে বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে কাজ করার আহবান জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ বিষয়টি কানাডা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে বলে জানান কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কৃষিক্ষেত্রে কানাডা একটি সমৃদ্ধ দেশ। এসময় চার্টার বিমানের মাধ্যমে কানাডার নাগরিকদেরে দেশে ফেরত যাওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য ড. মোমেনকে ধন্যবাদ জানানো হয়।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ১৪ মে, ২০২০, ১০:০১ পিএম says : 0
    আমি প্রথমেই কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাসোয়াঁ ফিলিপ শ্যামপেইনকে আমাদের উপার্জিত লাল সবুজের সালাম জানাই। তিনি এখানে যা বলেছেন সেটা খুবই সত্য কথা বলেছেন। আমরা সবাই জানি কানাডার রাজনৈতিক দল লিবারেল পার্টি সেই ’৭১ সাল থেকেই বাংলাদেশের পরিক্ষিত বন্ধু হিসাবে প্রমাণিত এটাই সত্য। সেসময়ে লিবারেল পার্টির নেতা ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডর বাবা পিয়ারে ট্রুডো আর তিনিই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় তাঁর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে কানাডা বাংলাদেশের সাথে বিশেষ করে কৃষি খাত থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাতে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছে। কানাডার দিক থেকে কানাডা বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশী সাহয্য করে থাকে তবে বাংলাদেশের দিক থেকে ৩য় অবস্থানে কানাডা এটা আমি দেখেছি। এখন এই খবরে একটা বিষয় আমাকে উত্তাপন করতেই হচ্ছে সেটা হচ্ছে জাতীর জনকের খুনীকে ফেরত দেয়ার বিষয়। এজন্যে অবশ্যই যা করা প্রয়োজন সেটা কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়েছেন তারপরও যদি বার বার বাংলাদেশ থেকে সেইভাবে অগ্রসর না হয়ে এভাবে বাংলাদেশের জনগণকে কানাডার প্রতি বিরুপ ধারনা দেয়ার জন্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও কূটনীতিবিদরা প্রধানমন্ত্রীকে খুশী করার জন্যে চেষ্টা করেন তাহলে সেটা কোন দিনও সাফল্য হবে না এটাই সত্য। আমি জানি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দলের কানাডা শাখার জনৈক নেতা ১৯৯৬ সালে দল ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে জাতীর জনকের খুনীকে ফেরত নেয়ার জন্যে বন্দী বিনিময় চুক্তি করার জন্যে প্রচেষ্টা নিয়েছিলেন। কিন্তু সেসময়ের কানাডার হাইকমিশনার ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খেতে যাওয়ায় বাংলাদেশের প্রয়াত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দস সামাদ আযাদ কানাডায় দুইটা চুক্তি স্বাক্ষর করতে এসে একটা চুক্তি স্বাক্ষর করেন অন্যটি (মানে বন্দী বিনিময় চুক্তি) স্বাক্ষর না করেই ফিরে গিয়েছিলেন। যেহেতু দল তখন ক্ষমতায় তাই দলের নেতারা হাইকমিশনারের উপরই বেশী বিশ্বস্ত হয়ে পরায় এই চুক্তিটা করতে পারেনি এটাই প্রকৃত সত্য ঘটনা। এখন আর সেটা সম্ভব নয়, তবে অন্য রাস্তা আছে কিন্তু সেই রাস্তায় চলার মত দক্ষতা বাংলাদেশী কূটনীতিবিদদের নেই তাই তারা সস্তা পদ্দতী বাকা পথে মানে আবোল তাবোল বলে নিজের দেশের নাগরিকদেরকে কানাডার উপর ক্ষেপিয়ে কানাডার আত্মসম্মানে আঘাত করে কার্যসিদ্ধি করার পায়তারা করছে। আমি মনে করি এই পথেও বাংলাদেশ কৃতকার্য হবে না কারন এই পদ্ধতি এরা অনেক আগে থেকেই করে আসছে কিন্তু কাজ হয়নি কারন কানাডা কোনদিনও দেশের আইনকে অবজ্ঞার নজরে দেখনা বা পাশকাটিয়ে যায়না। আল্লাহ্‌ আমাদের দেশের কূটনীতিবিদদেরকে কটু নীত না করে সত্যকারের কূটনৈতিক জ্ঞান দান করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ