বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মহানগরী বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় করোনা টেস্ট ও চিকিৎসাসেবার পরিধি দ্রুত বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও স্বাস্থ্য সচিব মো. আসাদুল ইসলামের কাছে প্রেরিত পৃথক চিঠিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
চিঠিতে বলা হয়, বিগত ৩-৪ দিন ধরে চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলায় কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত ৪ দিনের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চট্টগ্রামে মোট ১৭৪ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছেন যার মধ্যে মহানগরীর ৯৭ জন। এ চার দিনে ৮ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এটি অত্যন্ত ভয়াবহ চিত্র।
এ আশঙ্কাজনক সংক্রমণ ব্যবস্থাপনার জন্য যে পরিমাণ চিকিৎসাসেবার সুযোগ প্রয়োজন বর্তমানে চট্টগ্রামে তা হতাশাজনকভাবে অপ্রতুল। জেনারেল হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসিইউসহ মোট ১০০ শয্যা, বিআইটিআইডিতে ৫০ শয্যার আইসোলেশন ছাড়া আজ পর্যন্ত করোনা চিকিৎসার জন্য অন্য কোনো সুবিধা নেই।
নিজের উদ্যোগে বেসরকারি ক্লিনিক মালিকদের উদ্বুদ্ধ করে পরিত্যক্ত হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালকে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন সম্বলিত ১১ শয্যা আইসিইউ, ৯ শয্যা এইচডিইউ ও ৪০টি সাধারণ শয্যাসহ মোট ৬০ শয্যার কোভিড হাসপাতাল হিসেবে প্রস্তত করা হয়েছে যা ১০০ শয্যায় উন্নীত করা যাবে বলে উল্লেখ করেন মেয়র।
মেয়র চিঠিতে জরুরি ভিত্তিতে হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালকে পূর্ণরূপে চালু করার লক্ষ্যে জনবল ও আর্থিক বরাদ্দ অনুমোদনের জন্য তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মেয়র বলেন, ঢাকার পরে সবচেয়ে বেশি কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে চট্টগ্রামে। বর্তমানে কোভিড টেস্টের জন্য অপেক্ষমান গড়ে ১ হাজার রোগীর বিপরীতে মাত্র ৩০০-৪০০ রোগীর টেস্ট করা সম্ভব হচ্ছে। রোগীর নমুনা কালেকশনের ৩-৪ দিন পর ফলাফল জানানো হচ্ছে।
এতে করে স্যাম্পলের গুণাগুণ বজায় থাকা নিয়েও সন্দেহের অবকাশ রয়ে যাচ্ছে এবং স্যাম্পল কালেকশন ও ফলাফল প্রকাশের মধ্যবর্তী সময়ে অনেক রোগী মারাও যাচ্ছেন। এতে জনমনে হতাশার সৃষ্টি হচ্ছে। এমতাবস্থায়, টেস্ট বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টির জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে।
সাধারণ সর্দি, জ্বর ও কাশির রোগীরা বর্তমানে কোনো বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন না। ক্ষেত্রবিশেষে অন্য রোগীদেরও বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে গিয়ে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। প্রাইভেট প্র্যাকটিশনারগণ প্রায় ৯০ ভাগ চেম্বারে রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন।
এতে নন-কোভিড রোগীরা চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জরুরি নির্দেশনা জারি হলেও এর বাস্তবায়নে মনিটরিংয়ের প্রয়োজন রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।