মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ফ্রান্সে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার পর দেশটির নাগরিকরা এখন মুখ ঢেকে চলাফেরা করতে বাধ্য হচ্ছেন! অথচ আইন করে মুসলিম নারীদের বোরকা পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল দেশটিতে। করোনাপরবর্তী দেশটিতে মুখোশ না পরে বা মুখ না ঢেকে চলাফেরা করলে ১৫০-১৬৫ ইউরো পর্যন্ত জরিমানার বিধান করা হয়েছে। তবে বোরকা নিষিদ্ধই থাকছে।
সম্প্রতি বিএফএম টিভির এক জরিপে দেখা গেছে যে, ফ্রান্সের ৯৯ শতাংশ মানুষ মুখোশ পরাকে সমর্থন করেছেন। ফ্রান্সে যে ২৬ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে এই সিদ্ধান্ত বদলের পেছনের তার বড় ভুমিকা রয়েছে।
মুখ ঢাকা বাধ্যতামূলক করা হলেও বোরকা পরায় নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকছে জানিয়ে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওয়াশিংটন পোস্টকে জানিয়েছে, কভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন সময়েও বোরকা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। তবে করোনা মাহামারির কারণে লোকদের মুখ ঢেকে চলতে হবে। এ সময় মুখ না ঢাকা থাকলে অন্যদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে এমন মুখোশ দিয়ে মুখ ডাকতে হবে যেটা ধর্মীয় প্রতিনিধিত্ব করে না। এই আইন লঙ্ঘন করলে ১৫০-১৬৫ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা করা হবে।
২০০৪ সালে, দেশটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ধর্মীয় নিরপেক্ষতাকে কারণ দেখিয়ে সব সরকারী বিদ্যালয়ে হিজাব নিষিদ্ধ করেছিল। ২০১০ সালে, জনসাধারণের যে কোনও জায়গায় পুরোপুরি মুখ ঢেকে রাখে এমন বোরকা ও নিকাব নিষিদ্ধ করেছিল, এই যুক্তি দিয়ে যে এই পোশাকগুলো জনগণের সুরক্ষার জন্য হুমকিস্বরূপ এবং সমান নাগরিক অধিকারের একটি সমাজের এটা প্রতিনিধিত্ব করে না।
করোনায় আক্রান্ত শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে ৬ নম্বর অবস্থানে রয়েছে ফ্রান্স। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৬৫৮ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৬ হাজার ৩১০ জন।
সম্প্রতি ফ্রান্সের বিখ্যাত ‘প্যারিস ফ্যাশন সপ্তাহ’- এ মডেলরা মুখোশ পরেই অংশগ্রহণ করেন। মডেলদের পরিহিত মুখোশগুলো দেখতে অনেকটাই মুসলিম নারীদের হিজাবের মতোই ছিল।
শুধু ফ্রান্সেই নয়, বিশ্বের অনেক দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় নারী মডেল থেকে শুরু করে সবাই মুখোশ পরছেন। নিরাপত্তার বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রেখেই তারা এ মুখোশ পরছেন।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে ফ্রান্স যখন প্রথম ‘মুখ ঢাকা পোষাক’ নিষিদ্ধ করে তখন তা ইউরোপে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি করে। ইউরোপে ফ্রান্সই ছিল প্রথম দেশ যারা এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়। কেবল বোরকা নয়, মুখ ঢাকা যে কোনো পোশাক, মুখোশ, বালাক্লাভা, হেলমেট বা হুড যা পরিচয় গোপন রাখতে সহায়তা করে, তা নিষিদ্ধ ফ্রান্সে। সূত্র- ওয়াশিংটন পোস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।