বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
লকডাউনের মধ্যেই সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং নতুন করে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়ে এনজিও’র (ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান) কার্যক্রম সীমিত আকারে পরিচালনার অনুমতি দেয়া হয়েছে। গত শনিবার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে দেশের সনদপ্রাপ্ত ক্ষুদ্র ঋণপ্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে ক্ষুদ্র ঋণপ্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি।
এতে করে নতুন করে আতঙ্কের মুখে পড়ে গেছেন ছোট ছোট ব্যবসায়ী এবং এনজিও থেকে নেয়া ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহিতারা। তাদের ভয়, কাজ নেই খাবার নেই। এ অবস্থায় এনজিওগুলো কার্যক্রমে নামলে কিস্তি পরিশোধের তাগাদা দেবে। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমনের ঠেকাতে দুইমাস থেকে ঘরবন্দি মানুষ কোনোভাবেই কিস্তি পরিশোধ করতে পারবে না।
উল্লেখ ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহিতাদের কাছে যাতে কিস্তির টাকার জন্য চাপ দিতে না পারেন সে জন্য এতোদিন এনজিওগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে রাখা হয়েছিল।
মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কোভিড-১৯ এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের অর্থনৈতিক বিভিন্ন খাতের বিশেষ করে কৃষি খাতের উৎপাদন ও বিপণনে বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজের ধারাবাহিকতায় ক্ষুদ্রঋণ সেক্টরের দরিদ্র গ্রাহকদের জরুরি ঋণ চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ ব্যাংক নিজস্ব তহবিল দ্বারা গঠিত ‘নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য পুনঃঅর্থায়ন স্কিম, ২০২০’ এর সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরার লক্ষ্যে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম সীমিত আকারে চলমান রাখা প্রয়োজন।
এই প্রেক্ষিতে কার্যক্রমসমূহসহ ক্ষুদ্রঋণ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য জরুরি সেবা চলমান রাখার জন্য সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশাবলি যথাযথভাবে অনুসরণসহ নির্দেশনাবলি পরিপালনের শর্তে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানসমূহ সীমিত আকারে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে।
এ ঘোষণার পর ঘরে বসে থাকা এনজিও থেকে ঋণগ্রহিতা ক্ষ্রদ্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক শুরু হয়ে গেছে। জহির নামের এক ঋণ গ্রহিতা বলেন, ২০ হাজার টাকা নিয়েছে মাসে দুই হাজার করে কিস্তি দেয়ার শর্তে। কিন্তু দুই বাস বন্ধ। এ অবস্থায় এনজিও চালু হলে কিস্তির চাপ দেবে। মরিয়ম নামের একজন বলেন, ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে কাপড়ের ব্যবসা করেছি। করোনার কারণে এতোদিন ঘরবন্দি ছিলাম। এখন এনজিও মাঠে নামলে মুখে সেবার কথা বললেও কিস্তির জন্য চাপ দেবে। প্রয়োজনে নতুন করে ঋণ নিতে বাধ্য করে সেখান থেকে নিজেরা কিস্তি কেটে নেবে। এতে ঋণের পরিমাণ আরো বেড়ে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।