Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আরও রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর

ডিপিএ ইন্টারন্যাশনাল | প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০২০, ১২:০১ এএম

প্রায় ৩০০ রোহিঙ্গা মুসলমানকে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি ছোট নৌকায় ভাসমান অবস্থায় পাওয়ার পরে একটি দ্বীপে প্রেরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের কর্মকর্তারা গত শুক্রবার একথা জানিয়েছেন। স্থানীয় সরকার কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেছেন, নৌবাহিনীর একটি জাহাজ বহু মহিলা ও শিশুসহ ২৮০ রোহিঙ্গাকে বহনকারী নৌকাটিকে টেনে ভাসান চরে নিয়ে গিয়েছে। এর আগে সরকার দক্ষিণ কক্সবাজার জেলার জনাকীর্ণ শিবির থেকে ১ লাখ শরণার্থীকে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ‘করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে তাদের দুই সপ্তাহের জন্য আইসোলেশনে রাখা হবে’ -বলছিলেন করিম।

তিনি আরও যোগ করেন, এই গ্রুপটি প্রায় ৫০০ রোহিঙ্গার অন্তর্ভুক্ত যারা মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি প্রত্যাখ্যানের পর প্রায় দুই মাস ধরে একটি জাহাজে ভাসমান ছিল। তিনি আরও যোগ করেছেন, বৃহস্পতিবার তাদের উদ্ধার করার পরই দুর্বল ও পানিশূন্য শরণার্থীদের খাবার এবং পানি দেয়া হয়েছে। তারা গত রোববার চরে নামা একটি ছোট দলের সাথে যোগ দেবে।

পার্শ্ববর্তী বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমার থেকে প্রায় দশ মিলিয়ন রোহিঙ্গা মুসলমান অত্যাচারে পালিয়ে এসে কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরে বাস করছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ২০১৩ সালের সামরিক ক্র্যাকডাউনের পরে তাদের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ সীমান্ত অতিক্রম করে।
ঘনত্ব হ্রাসে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ বাসান চরে ১ লাখ শরণার্থীকে স্থানান্তর করার জন্য বাড়িঘর তৈরি করেছিল, কিন্তু সহায়তা সংস্থা এজেন্টদের বিরোধিতা করার পরে এই পরিকল্পনা স্থগিত হয়ে ছিল। এজেন্সিগুলির যুক্তি, বর্ষা মৌসুমে ঘূর্ণিঝড় এবং বন্যার কবলে পড়ার কারণে দ্বীপটি বসবাসের জন্য একটি বিপজ্জনক জায়গা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ