বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্দেশ দিলেও ব্যাপক সংখ্যক শিক্ষার্থীদের জন্য যথেষ্ট প্রযুক্তিগত সুবিধার অভাব ও নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সুবিধা না থাকায় অনলাইনে ক্লাসে অংশগ্রহণ সম্ভব নয়। এ কথা বিবেচনায় অনলাইন ক্লাস চাইছেন না রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষকরা। যদিও করোনাভাইরাসে ছুটির ক্ষতি পোষাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনে ক্লাস চালানোর জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়। তবে ব্যক্তি উদ্যোগে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অনলাইনে বেশ কিছু ক্লাস নিয়েছেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এম. আহসান কবির।
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, অনলাইন ক্লাসের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
অনলাইনে ক্লাস নেয়ার সম্ভাব্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. এম. আহসান কবির বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার মতো যথাযথ আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা নেই। তাছাড়া আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েরও এতো বড় সংখ্যক শিক্ষার্থীদের মাঝে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর মতো যথেষ্ট প্রযুক্তিও নেই। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা কম থাকায় এবং শিক্ষার্থীদের যথেষ্ট আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকায় সেখানে অনলাইনে ক্লাস নেয়ার বিষয়টি সম্ভব হচ্ছে। যেটি আমরা পারছি না।
তিনি বলেন, আমরা ক্লাসগুলো সব শিক্ষার্থীদের উপকারের কথা ভেবেই নিই। এ অবস্থায় অনলাইনে ক্লাস নেয়া শুরু হলে অনেক শিক্ষার্থীই ক্লাসগুলো থেকে বঞ্চিত হবে। ব্যক্তি উদ্যোগে আমার স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা নিশ্চিত করে বেশ কয়েকটি ক্লাস নিয়েছিলাম। তবে সেটি সম্ভব হয়েছিল স্নাতকোত্তরে সীমিত সংখ্যক শিক্ষার্থী থাকার জন্য। তবে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে এতো বড় সংখ্যক শিক্ষার্থীর জন্য অনলাইনে ক্লাস নেয়া সম্ভব নয়।
অনলাইন ক্লাসের বিষয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, অনলাইনে ক্লাস নেয়ার জন্য নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ অপরিহার্য। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বৃহস্পতিবার (৭ মে) আট বার লোডশেডিং হয়েছে। বিদ্যুতের এ অবস্থায় অনলাইনে ক্লাস নেয়া সম্ভব হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুর হোসেন বলেন, কিছু ল্যাবে অনলাইনে ক্লাস ও পাঠদানের সুযোগ-সুবিধা আছে। তবে বড় সমস্যা হলো মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর কাছে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি সুবিধা আছে। আর মোবাইল ফোনে করে এই ক্লাস স্ট্রিমিং ধরতে পারবেন না শিক্ষার্থীরা। ইউটিউবে দিয়ে রাখলে হয়তো শিক্ষার্থীরা দেখে নিতে পারবেন। কিন্তু সেই সুবিধা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নেই।
অনলাইন ক্লাসের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা বলেন, ইউজিসি অনলাইন ক্লাসের নির্দেশনা দিলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে অনলাইন ক্লাস সম্ভবপর নয় বলে মত দেন তিনি।
এর আগে গত ৩০ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ইউজিসির অনলাইন বৈঠকে করোনার কারণে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজসমূহকে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কমিটি তাদের পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল বিষয় ঠিক করবে। অন্যদিকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা কিভাবে নেবে সে বিষয়ে করণীয় ঠিক করে দেবে ইউজিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।