নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের প্রভাবে এখন বিশ্বের সব দেশেরই খেলাধুলা বন্ধ রয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় স্থগিত আছে ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বাদশ সংস্করণের খেলা। করোনার প্রকোপ না থাকলে হয়তো এতোদিনে বিপিএলের প্রথম লেগ শেষের পথে থাকতো। প্রাণঘাতি ভাইরাসটি যদি বিশ্বব্যাপী ছোবল না মারতো তাহলে হতে পারতো কাতার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের খেলাও। দিন যতই পার হচ্ছে করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা ততই ছড়াচ্ছে। গতকাল বিকাল পর্যন্ত ২২২টি দেশের ৩৯ লাখ ৩২ হাজার ৬৭২ জন মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ২ লাখ ৭১ হাজার ২৯ জন। এমন পরিস্থিতিতে বিপিএল ফের কবে মাঠে গড়াবে তা বলা মুশকিল। বলা যায় করোনা পরিস্থিতিতে লিগ শুরু নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। তবে সব কিছু ছাপিয়ে মাঠে ফেরার অপেক্ষায় আছেন খেলোয়াড়রা। মৌসুম ছোট (সংক্ষিপ্ত) করে হলেও মাঠে ফুটবল চান আশরাফুল ইসলাম রানা-নাবীব নেওয়াজ জীবনরা!
করোনার প্রভাবে লকডাউনের আওতায় পড়ে গত ১৫ মার্চের পর বিপিএলের ম্যাচ আর মাঠে গড়ায়নি। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি শান্ত হবে, কেটে যাবে করোনা দুর্যোগ-এমনটাই আশা করছেন জাতীয় দল ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা। তিনি সংক্ষিপ্ত করে হলেও মৌসুম শেষ করার পক্ষে। শুক্রবার রানা বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে এখন সবকিছু বন্ধ হয়ে আছে। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলাতে থাকলে এবং সবকিছু স্বাভাবিক হলে, খেলতে সমস্যা কোথায়? এমনিতেই মৌসুমের অর্ধেক সময় আমরা পাড় করেছি না খেলেই। এখন কাট-ছাট করে হলেও লিগটা শেষ করা দরকার।’ মৌসুম শেষ করতে না পারাকে ক্ষতি হিসেবে দেখছেন দেশসেরা এই গোলরক্ষক। তার কথায়, ‘আমরা কতদিন বসে থাকবো। লিগ খেলতে না পারলে আদতে খেলোয়াড়দেরই ক্ষতি বেশি। এছাড়া করোনাকাল কেটে যাওয়ার পর জাতীয় দলের ব্যস্ত সূচিও বাড়বে। তখন বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ হতে পারে।’ রানা যোগ করেন,‘লিগের খেলা থাকলে খেলোয়াড়রা নিজেদের পারফরমেন্স পরখ করতে পারবেন। আমরা যদি খেলার মধ্যে থাকি, তাহলে জাতীয় দলের জন্যই লাভ হবে। এতে করে আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলো সহজেই খেলতে পারবো। আমি মনে করি করোনা দুর্যোগ কেটে গেলে লিগের বাকি ম্যাচগুলো হওয়া উচিত। তা বিদেশিরা ছাড়া হলেও।’
ঢাকা আবাহনী তথা জাতীয় দলের স্ট্রাইকার নাবীব নেওয়াজ জীবনও ফের লিগ চালুর পক্ষে। তিনি বলেন,‘আমাদের পরিচয় ফুটবলার। এখন আমরা চাইবো করোনা দুর্যোগ কেটে গেলে আবারো মাঠে নামতে। আশা করি পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে লিগ চালুর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন আয়োজকরা।
বিপিএলের এবারের আসরের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা চূড়ান্ত হবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাহী কমিটির সভাতে। এই সভা হবে আগামী ১১ মে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।