পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাস্তাঘাট সড়ক মোড় মার্কেটের সামনে যানজট আর জনজট। ভিড় জটলা ঘোরাঘুরি দিনেরাতে। ঈদের মার্কেট শপিং মল খোলার চার দিন আগে মহড়া যেন। মার্কেটগুলোতে ঈদবস্ত্রসহ হরেক পণ্য সাজানোর ব্যস্ততা। বাণিজ্যিক রাজধানী বন্দরনগরী চট্টগ্রামে গতকাল এ অবস্থা দেখে বোঝার কী উপায় করোনার মহাদুর্যোগ চলছে দেশে। পতেঙ্গা-বন্দর-আগ্রাবাদ, অলঙ্কার-পাহাড়তলী-কাট্টলী-হালিশহর, অক্সিজেন-বায়জিদ-ফতেয়াবাদ চান্দগাঁও, বাকলিয়া-মোহরাসহ সবখানে এক দৃশ্য। জেলা-উপজেলার হাট-বাজারে ভিড় জটলায় যেন উৎসব।
কোথাও নেই লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব রক্ষার তোয়াক্কা। শুধুই আছে আইন-নিয়ম ভাঙার প্রতিযোগিতা। মার্কেটগুলো ঈদের বেচাকেনার জন্য রোববার খুলছে এ খবরে হুজুগ পেয়ে বসেছে চট্টগ্রামে একশ্রেণির মানুষকে। ঘরবন্দি নেই ওরা। যেন করোনার ভয়াল ছোবলকে স্বাগত জানাতে মরিয়া। এদের কারণেই সাধারণ জনগণ মারাত্মক ঝুঁকি-আতঙ্কে। সারাক্ষণ সংক্রমণ তাড়া করছে।
সাধারণ ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সাথে কথা বলে বোঝা গেছে তারা আছেন তীব্র দ্বিধাদ্ব›েদ্ব, দোটানায়। করোনাকালে ঝুঁকি নিয়ে কত হারে ক্রেতা মার্কেটে কেনাকাটা বিলাসে যাবেন তা নিয়ে ব্যবসায়ীদের দ্বিধা-সংশয়। চট্টগ্রামের সচেতন নাগরিকগণ বলছেন, করোনার পিক সময়েই ঈদ মার্কেটগুলো উন্মুক্ত করে ক্রেতাদের হুমড়ি খেয়ে পড়তে দেয়াই হবে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।
নিউমার্কেট, সানমার, সেন্ট্রাল প্লাজা, মিমি সুপারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান উদ্বেগের কথা। করোনায় বড় একটা ঝুঁকির মধ্যেই বেচাকেনায় নেমে পর্যাপ্ত ক্রেতা পাবেন কিনা, লাভ আসবে নাকি পুঁজি খুইয়ে আরও ফতুর হবেন এ নিয়ে চিন্তিত। পড়েছেন দোটানায়। মহাদুর্যোগে উৎসাহ-আগ্রহ নিয়ে তারা মার্কেট খুলে ঈদের ব্যবসা করতে চান এমনটি মনে হয় না। বরং দ্বিধাদ্ব›দ্ব কাটছে না।
বিদেশফেরত প্রচুর সংখ্যক কোয়ারেন্টিন না মানা প্রবাসী, কর্মরত বিভিন্ন দেশের অনেক নাগরিকসহ বিভিন্ন কারণে বৃহত্তর চট্টগ্রাম করোনায় উচ্চ ঝুঁকিতে। আগেই বিশেসজ্ঞগণ সতর্ক করেছেন। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানেই চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। গত ৩ এপ্রিল একজন, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৭০ জন। গতকাল তা ১৪০ জনে উন্নীত হয়। এ পরিস্থিতিতে সমগ্র চাটগাঁবাসীর দুশ্চিন্তা বেড়েই চলেছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ ও বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্চঝুঁকির বাণিজ্যিক রাজধানীতে সংক্রমণ পরিস্থিতি আরো বেসামাল হয়ে উঠবে লকডাউন ভেঙে ঈদ মার্কেট শপিং মলগুলো খুলে দেয়া হলে।
ঈদে চট্টগ্রাম মহানগরীর শপিং মল মার্কেটগুলো খোলার ধরণ ও কৌশল, স্বাস্থ্য সুরক্ষার কী হবে তা নিয়ে সিএমপির উদ্যোগে প্রশাসন এবং চিটাগাং চেম্বারসহ ব্যবসায়ী নেতাদের সমন্বয় বৈঠক ডাকা হয়েছে আগামীকাল।
চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম ইনকিলাবকে জানান, মহামারী ঝুঁকির বাস্তবতায় ঈদ মার্কেট কতটা জমবে সবারই মাঝেই দুশ্চিন্তা রয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণির ব্যবসায়ী ও দোকান মালিকরা চেম্বারে আমাদের সহযোগিতার জন্য আসেন। তারা বলেছেন বছরে বিক্রির একটা মাত্র সুযোগও না পেলে আমাদের জীবন-জীবিকা চলবে কিভাবে? তবে এখানে তো জীবিকাই নয় জীবন বাঁচানোর চিন্তাটাও আগে করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।