Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতে মদের দোকানগুলোতে চলছে যুদ্ধপরিস্থিতি!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ মে, ২০২০, ৪:০৫ পিএম

ভারতে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দেশজুড়ে জারি করা লকডাউন কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করা হচ্ছে। দোকানপাট খোলার ক্ষেত্রে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। বেশকিছুদিন ধরে বন্ধ ছিল মদের দোকান। গতকাল তা খুলে দেওয়া হয়। এতেই সকাল থেকে মদ কিনতে পড়ে যায় দীর্ঘলাইন। এমনকি পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জও করে পুলিশ।
পরে এক ধাক্কায় মদের দাম বাড়ানো হয় ৭০% পর্যন্ত। কিন্তু দাম বাড়া মুখের কথা নয় যে কোনও পণ্যের ক্ষেত্রেই। কিন্তু দেশের জন্য এটুকু ‘ত্যাগ’ করতে জান কবুল রাজধানীর মদপ্রেমীরা।
দীর্ঘ লাইন জয় করে, হাজার টাকার বোতল সতেরোশো টাকায় কিনে যেভাবে দোকান থেকে বেরোচ্ছেন, যেন করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হাতের মুঠোয়! উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব দিল্লির যে সব জায়গায় মদের দোকান খোলা রয়েছে, সর্বত্র হুবহু একই দৃশ্য আজ।
গতকালই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কন্টেনমেন্ট এরিয়ার বাইরে মদের দোকান খুলবে ঠিকই কিন্তু স্পেশাল করোনা ফি হিসেবে দিতে হবে ৭০% বেশি দাম। সকাল ন’টা থেকে সন্ধে সাড়ে ছ’টা পর্যন্ত খোলা থাকবে দেড়শোটি নথিভুক্ত দোকান। কিন্তু দেখা গেল, সকাল ন’টায় এসে দোকানের এক মাইল দূরে দাঁড়ানোর ঝুঁকি নিতে চাইছেন না অনেকেই। পূর্ব দিল্লির লক্ষ্মীনগর এলাকার মদের দোকানটির সামনে তাই শেষ রাত থেকে ভিড় জমতে দেখা গিয়েছে।
প্রবীণ খন্না নামক এক স্থানীয় বাসিন্দা যেমন এসেছেন ভোর ছ’টায়। তাঁর অভিযোগ, ভোর থেকে ভিড় সামলানো উচিত ছিল পুলিশের। তখনই এসে টোকেনের মতো করে নম্বর নিয়ে নেওয়া উচিত ছিল। তা হলে সুষ্ঠু ভাবে সবাই এক-এক করে পেতেন। ক্ষোভে ফেটে পড়ে তিনি বলেছেন, আমি এসেছি পৌনে ছটায়। আমার অনেক বন্ধু এসেছে ভোর চারটায়। কিন্তু দেখুন পুলিশ পৌঁছাচ্ছে দোকান খোলার পাঁচ মিনিট আগে। কোনও ব্যবস্থা নেই, মানুষকে বোঝাবে কে? যদি লড়াই-ঝগড়া হয়, তা হলে কে দায়িত্ব নেবে? সেই সঙ্গে প্রায় বুক ঠুকেই বললেন, মদের ৭০% দাম বেড়েছে বলে কোনও দুঃখ নেই। দেশের জন্য এটুকু দান করতে আমরা প্রস্তুত।’
গতকালও সকালে দোকান খোলার আগে থেকে অধিকাংশ মদের দোকানের সামনে লম্বা লাইন ছিল। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে। ফলে খুলেও বন্ধ করে দিতে হয় অধিকাংশ মদের দোকান। তখন রাজ্য সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে, মদে আরও কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, দোকানের সামনে উন্মত্ত ভিড় কিছুটা কমানোর কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি রাজ্যের শুকিয়ে আসা কোষাগারে কিছু বাড়তি আমদানির কথাও ভাবা হয়েছে। কিন্তু আজ দিনশেষে মদের দোকানের সামনে ভিড় কমার লক্ষণ তো দেখা যায়ইনি, বরং সংক্রমণের তোয়াক্কা না করেই দোকানের সামনে সবাই ব্যাগ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ