পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের সবকিছু বন্ধের মধ্যে এনজিওগুলো কিস্তি আদায় করায় বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এতে সরকার ঘোষণা দিয়ে কিস্তি আদায় বন্ধ করে। এখন মাঠে নামার নতুন বায়না ধরেছে গরীবের রক্তচোষা এনজিওগুলো। তারা বলছেন, এনজিও কার্যক্রম শুধু ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি আদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।
শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সমৃদ্ধির কাজ করে। উদ্যোক্তা তৈরি থেকে শুরু করে একজন ভিক্ষুককেও স্বচ্ছভাবে বাঁচার পথ দেখায়। গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা করতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি চায় এনজিওগুলো।
করোনার মধ্যে এনজিওগুলোর পক্ষ্যে ওকালতি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, সবকিছু যেহেতু সীমিত আকাওে খোলা, সেহেতু এনজিও খুলে দেয়া উচিত। সেক্ষেত্রে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি জোর দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে নতুন করে এ ভাইরাস যেন সংক্রমিত না হয়।
ভুক্তোভোগীদের ভয় এনজিওগুলোকে মাঠে নামতে দিলে তারা গরীবকে সহায়তার নামে ঋণের কিস্তির জন্য চাপ দেবে। এতে ঘরে বসে থাকা গরীব মানুষ ও ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহিতারা মানসিক চাপের মধ্যে পড়ে যাবেন। কারণ ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করলেও সে ব্যবসা বন্ধ। তারা করোনার মধ্যেও ব্যবসা করতে চায়। কিন্ত রক্তচোষা এনজিওগুলো সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে মাঠে নামতে পারছে না।
এনজিওগুলোর দাবি তারা গরীবের রক্তচোষা নন, বরং করোনার মধ্যেই দরিদ্রদেও এখন পর্যন্ত সরাসরি বা স্থানীয় প্রসাশনের মাধ্যমে ৩০ কোটি টাকার ত্রাণ দিয়েছে। এনজিওগুলোর উদ্বৃত্ত থেকে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ জনকল্যানে ব্যয় করা বাধ্যতামূলক।
এছাড়া সারা দেশে প্রায় সাড়ে সাত হাজার বৈকালিক স্কুল রয়েছে। এসব স্কুলে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়। এনজিওগুলোর দাবি সীমিত আকারে খোলার অনুমতি দিলে এনজিও কর্মীরা স্থানীয় প্রসাশনকে সহায়তা করতে পারে। এছাড়া করোনা সংকটের মধ্যে অসুস্থ রোগীকে হাতপাতালে পৌঁছে দিতে পারে। এনজিওগুলো সীমিত আকারে হলেও তারা গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াতে চায়।
এনজিও সংশ্লিষ্ট একটি সুত্রে জানা যায় বলছে, সারাদেশে প্রতিবছর এনজিওগুলো ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করে থাকে। এর মধ্যে ৯০ হাজার কোটি টাকা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কাছে থাকে। কিন্তু বর্তমানে দোকানপাট বন্ধ থাকা, বৈশাখী উৎসব না হওয়া এবং রোজার মধ্যেও ব্যবসা করতে না পারায় এ টাকাগুলো স্থির হয়ে আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।