বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ১৫ শতাংশ ভ্যাট দেয়াটা অনেকের জন্য কষ্টসাধ্য উল্লেখ করে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেছেন, অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও ৭ শতাংশ ভ্যাট আদায় করা উচিৎ। সব ক্ষেত্রে ৭ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারণ করলে তা ব্যবসায়ী মহলসহ সবারই দেয়া সহজলভ্য হবে, রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে।
গত সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে আয়োজিত ‘বিজনেস প্রসেস অফ নিউ ভ্যাট ল’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান। এ সময় অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান এবং এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে মাতলুব আহমাদ বলেন, সব ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দেয়াটা কষ্টসাধ্য ও খুবই বেশি হয়ে পড়ে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ মালয়েশিয়া, হংকং ও থাইল্যান্ডে ৬ থেকে ৭ শতাংশ ভ্যাট আদায় করে থাকে। তাই রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির জন্য হলেও এ নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর করার সময় ৭ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারণ করার জন্য দাবি জানাচ্ছি।
ব্যবসায়ীদের এ নেতা বলেন, ব্যবসায়ী মহল ও এনবিআর মিলে দেশের অর্থনৈতিক চাকা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেই জাতীয় রাজস্বের মোট ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ আদায় হয়ে থাকে। তাই আমরা এনবিআরের কাছ থেকে চাই যেন ১ টাকার রাজস্ব দিতে গিয়ে ৩ টাকার হয়রানি না হতে হয়। তিনি নতুন ভ্যাট আইন সম্পর্কে বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য হলো, মাত্র ৪ শতাংশ ব্যবসায়ী নিয়মিত ভ্যাট দেয়। তাই বাকি ৯৬ শতাংশ ব্যবসায়ীদের খুঁজে বের করতে হবে। আশা করি এ নতুন ভ্যাট আইনে অনলাইনে ভ্যাট দেয়ার মাধ্যমে বাকিরা ভ্যাট প্রদানে উৎসাহী বোধ করবে এবং রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বেড়ে যাবে।
তিনি এনবিআরের উদ্দেশে বলেন, রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে হয়রানি ও দুর্নীতি আরো কমাতে হবে। তাহলে আরো বেশি সংখ্যক মানুষ রাজস্ব দেয়ায় উৎসাহী হবে। তবে এডিআর (বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি) চলমান প্রায় ৩০ হাজার মামলার ব্যাপারে আমি অবাক হই। যেখানে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পরে আছে। তাই এ মামলাগুলো দ্রæত নিষ্পত্তি হয় সে ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে করা ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক আইন এ বছরের জুলাই থেকে কার্যকর হবে। তবে বর্তমান আইনে ১৫ শতাংশ ভ্যাট থাকলেও তা সব ক্ষেত্রে নেই। যেমন ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে বেতনের উপর ৭ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হয়। এ রকমভাবে আরও কয়েকটি ক্ষেত্রে ২, ৩, ৪ শতাংশ হারে ভ্যাটের বিধান আছে। আবার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য আছে ‘প্যাকেজ ভ্যাট’। তবে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক আইন-২০১২ কার্যকর হলে সব ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।