Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বল শাইনে থুতুর বদলে মোম!

করোনা পরবর্তী ক্রিকেট

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ মে, ২০২০, ১২:০২ এএম

করোনা-পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপরই জোর দেবে গোটা বিশ্ব। খেলাধুলাও এর ব্যতিক্রম নয়। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে চিন্তা–ভাবনাও। করোনার প্রকোপ কমার পর যখন খেলাধুলা মাঠে গড়াবে তখন ক্রীড়াবিদদের মেনে চলতে হবে অনেক বিধিনিষেধই। পরিবর্তন আনতে হবে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অনেক অভ্যেসে।
ক্রিকেটেই তো বল চকচকে করার জন্য তাতে থুতু ও ঘাম মাখানোর ব্যাপারটি পুরোনো এক রীতি। আইসিসি এ ব্যাপারটিই বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভাবছে। বলে থুতু লাগানো এমনিতেই অস্বাস্থ্যকর। কিন্তু অনেক ক্রিকেটারই মনে করেন অস্বাস্থ্যকর হলেও এটি বোলারদের বল সুইং করানোর সবচেয়ে কার্যকরী উপায়। এটি নিষিদ্ধ হয়ে গেলে ক্রিকেটের সুইং–শিল্পই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মাঠে বল-ব্যাটের ভারসাম্য হারিয়ে যাবে। ব্যাটসম্যানরা পেয়ে যাবে বাড়তি সুবিধা।
থুতু ও ঘামের ব্যবহার নিয়ে ক্রিকেট দুনিয়ায় যখন তোলপাড়, তখন নীরবেই এর বিকল্প তৈরির পথে অনেকদ‚র এগিয়ে গেছে ক্রিকেট সরঞ্জাম প্রস্তুতিকারী প্রতিষ্ঠান কোকাবুরা। অস্ট্রেলীয় এই প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে থুতু ও ঘামের বিকল্প হিসেবে এক ধরনের মোমের তৈরি প্রলেপ উৎপাদন করতে চলেছে, যেটি বল চকচকে রাখতে থুতু ও ঘামের বিকল্প হিসেবে কাজে লাগবে।
কোকাবুরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রেট ইলিয়ট বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, ‘ক্রিকেট মাঠে বল চকচকে রাখার দীর্ঘদিনের উপায় থুতু ও থামের বিকল্প উদ্ভাবনে আমরা গবেষণা চালিয়েছি। অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমরা থুতু ও ঘামের বিকল্প হিসেবে মোমের তৈরি এক ধরনের প্রলেপের উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছি।’
ক্রিকেটের বর্তমান আইন অনুযায়ী বলকে চকচকে করতে কোনো ধরনের কৃত্রিম বস্তু ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। সেটি করা হলে তা বল বিকৃতির অপরাধের মধ্যে পড়ে। করোনা–পরবর্তী সময়ে থুতু ও ঘামের বিকল্প আনতে গেলে এই আইনে পরিবর্তন আনতেই হবে—এটা আইসিসিও ভেবেছে। কোকাবুরার ব্যবস্থাপনা পরিচচালক ইলিয়টের কাছেও একই ধরনের প্রশ্ন ছুটে গিয়েছি। তাদের উদ্ভাবিত মোমের প্রলেপ কাউকে বাড়তি সুবিধা দিয়ে দেবে কিনা। ব্যাপারটি অবশ্য মানতে নারাজ তিনি, ‘আমি মনে করি না এতে ক্রিকেটের মাধুর্য কোনোভাবেই ব্যাহত হবে। এতে কেবল থুতু ও ঘামের বদলে প্রলেপ ব্যবহার হবে। বোলাররা বাড়তি কোনো সুবিধা পাবেন না। কেবল বল পালিশ করার পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনবে।’
আগামী এক মাসের মধ্যে এটি বাজারে আনার কথা বলছে কোকাবুরা। তবে যে বাজারে আনলেই এটির ব্যবহার যে শুরু হয়ে যাবে, তেমনটি মনে করে না প্রতিষ্ঠানটি। কোকাবুরা ধরেই নিয়েছে এটি আইসিসিসহ পৃথিবীর সব ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সময় নেবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনা

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ