নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ব্রিটিশ প্রধান কোচ জেমি ডে’র ভাগ্য নির্ধারণ আগামী সপ্তাহে। তার সঙ্গে কি নতুন চুক্তি করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে), না ইতি ঘটতে যাচ্ছে জেমির সঙ্গে লাল-সবুজ ফুটবল সম্পর্কের? এই প্রশ্নের জবাব পেতে আরো সময় লাগবে বলে জানিয়েছে বাফুফে। তবে জানা গেছে, নতুন চুক্তির ব্যাপারে জেমির সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা চলছে। বাফুফে, জেমি ও এজেন্ট- এই তিন পক্ষের আলোচনার একটা ভালো ফলাফল আশা করছেন দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাঈম সোহাগ মঙ্গলবার বলেন, ‘ জেমির এজেন্ট আরো সপ্তাহখানেক সময় চেয়েছে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য। তবে আমরা চাই জেমি বাংলাদেশ ফুটবলের সঙ্গেই থাকুক।’
জেমি ডে’র সঙ্গে বাফুফের চুক্তির দ্বিতীয় বছরের মেয়াদ শেষ হবে ১৫ মে। ২০১৮ সালে প্রথম জেমি বাংলাদেশের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এক বছর পর আবার চুক্তি বাড়িয়েছে দুই পক্ষ। তৃতীয় মেয়াদে এই ইংলিশম্যানের সঙ্গে চুক্তি বাড়াতে চায় বাফুফে। কোচ জেমি নিজেকেও ইচ্ছুক বাংলাদেশে আরো কাজ করতে। মানসিকভাবে দুই পক্ষই সম্মত নতুন চুক্তির ব্যাপারে। এখন কিছু শর্ত মিললেই ইংল্যান্ড থেকে ফের বাংলাদেশে ফিরবেন জেমি ডে।
করোনাভাইরাসের কারণে সব ধরনের ফুটবল এখন বন্ধ। কবে জাতীয় দলের কার্যক্রম শুরু হয় তাও অনিশ্চিত। যে কারণে জেমি ডে’কে নতুন করে নিয়োগ দিলেও একটা শর্ত দিয়েছে বাফুফে। সেই শর্তে নতুন চুক্তির কার্যকাল শুরু হবে আগামী ১৬ আগস্ট থেকে। কারণ, এই তিন মাসে কোনো ফুটবল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই একজন বিদেশী কোচকে বসিয়ে বেতন দেয়ারও মানে নেই।
বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন,‘আমরা কোচকে যে প্রস্তাবনাগুলো দিয়েছি তার চূড়ান্ত জবাব এখনো পাইনি। মেইল চালাচালি হচ্ছে আমাদের মধ্যে। সোমবারও জেমির এজেন্টের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়েছে। তারা এক সপ্তাহের সময় চেয়েছেন। আশা করছি, এক সপ্তাহের মধ্যে ফিডব্যাক পেয়ে যাবো। জেমি সম্মত থাকলে টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনগুলো আমরা ঠিক করে নেবো।’
নতুন চুক্তি না হলেও আরও দেড় সপ্তাহ বাংলাদেশ ফুটবলের প্রধান কোচ এই ইংরেজ। তাই ছুটিতে থাকলেও লন্ডন বসে হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের ফিজিক্যাল ফিটনেস ধরে রাখার টিপস দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেমি বলেন, ‘খেলোয়াড়দের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ আছে আমার। করোনা দুর্যোগের সময় কে কেমন আছে, কোথায় আছে- সবই জানি আমি। প্রতি সপ্তাহে ওদের ফিটনেসের অবস্থা, খাওয়ার রুটিন সব চেক করছি। অডিও এবং ভিডিও কলে খেলোয়াড়দের ফিকিক্যাল অবস্থার খোঁজ রাখছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।