Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইউনাইটেড হাসপাতালকে লিগ্যাল নোটিস

মায়ের মৃৃত্যুর ব্যাখ্যা চাইলেন ডাক্তার পুত্র

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০২০, ১০:০০ পিএম

চিকিৎসা অবহেলায় মায়ের মৃত্যু হয়েছে-অভিযোগ এনে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে লিগ্যাল নোটিস দিয়েছেন এক ডাক্তার। সুপ্রিম কোর্ট বারের অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা শাহীন ডা. জিয়াউদ্দিন হায়দারের পক্ষে এ নোটিস দেন। জিয়াউদ্দিন বিশ^ব্যাংকের সিনিয়র স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত। নোটিসে হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীকে বিবাদী করা হয়েছে। মায়ের মৃত্যুর জন্য এতে হাসপাতালটির অবহেলা,পেশাগত অসদাচরণ, অশোভন ব্যবহারের ব্যাখ্যা চাওয়া হয় নোটিসে। গত ৩০ এপ্রিল পাঠানো নোটিসের বিষয়ে গতকাল রোববার অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা শাহীন জানান, প্রাপ্তির ২ সপ্তাহের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে নোটিসে। এতে বলা হয়, লাইফ সাপোর্টে থাকা একজন রোগীকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছাড়া অন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। ইউনাইটেড হাসপাতাল সেটিই করেছে। এ কারণে এটি একটি হত্যাকান্ড। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গত ১২ এপ্রিল মধ্যরাতে মাহমুদা খানমকে (৭৫) ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। কিন্তু লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় ১৪ এপ্রিল তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দিয়ে দেয়া হয়। পরে তাকে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে ২৩ এপ্রিল তিনি মারা যান। আমার মক্কেল ডা.জিয়াউদ্দিন হায়দার তখন কম্বোডিয়া ছিলেন। মাহমুদা খানমের পরিবারে ৩ ছেলেসহ ৫ জনই ডাক্তার। এ কারণে অবহেলাজনিত এ মৃত্যু তারা মেনে নিতে পারছিলেন না। ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নীতিহীন, আইনবহির্ভূত ও কঠোর সিদ্ধান্তের কারণে তাদের মায়ের মৃত্যু হয়েছে। মায়ের মৃত্যু নিয়ে তারা দেশী-বিদেশী সিনিয়র ডাক্তার, মানবাধিকার সংগঠনের নেতা এবং আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রত্যেকেই বলেছেন, এটি একটি হত্যাকান্ড। গত ৫ এপ্রিল মাহমুদা খানমের তার মায়ের নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। কিন্তু ১১ এপ্রিল তার রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা নিচে নামতে থাকে। এ অবস্থায় তাকে বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হলেও করোনার ভয়ে সবাই ফিরিয়ে দেয়। পরে উত্তরার একটি ক্লিনিকে নিয়ে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হয়। পরে করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট এলে ১২ এপ্রিল মধ্যরাতে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ