Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে বিচারিক তদন্তের আবেদন

আইনজীবীকে দন্ড

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০২০, ৯:৫৯ পিএম

এক আইনজীবীকে দেয়া মোবাইল কোর্টের দন্ডাদেশ স্থগিত চেয়ে আইন ও স্বরাষ্ট্র্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। নি:শর্ত মুক্তি চাওয়া হয়েছে সেই আইনজীবীর। সেই সঙ্গে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহারের বিচারিক তদন্ত চাওয়া হয়েছে। ‘ন্যাশনাল ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল’র পক্ষে সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস.এম. জুলফিকার আলী জুনু এক আবেদনে এ তদন্ত দাবি করেন। গতকাল রোববার ই.মেলে মন্ত্রণালয় দুটির সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদনটি পাঠানো হয়।
আবেদনে বলা হয়, গত ২ মে বরিশাল শহরে পণ্য বিক্রি করছিলো টিসিবি। এ সময় ‘কাজে বাধা দেয়া’ ও ‘ট্যাগ অফিসারকে লাঞ্ছিত করা’র অভিযোগ আনা হয় বরিশাল বারের অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম রিপনের বিরুদ্ধে। তাকে ৭ দিনের কারাদন্ড দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হুদা। রবিউল বরিশাল নগরীর ডেফুলিয়া এলাকার বাসিন্দা। দন্ডাদেশ প্রাপ্ত রবিউলকে গ্রেফতারের পর প্রকাশ্যে হাতকড়া পরিয়ে অসম্মানজনকভাবে জেলহাজতে নেয়া হয়। উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেয়া সাজা মোবাইল কোর্ট আইন অনুয়ায়ী হয়নি। ওই আইনের বিভিন্ন ধারা লংঘন করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে একজন আইনজীবীকে সাজা দেয়া হয়েছে।
ন্যায় বিচারের স্বার্থে দন্ডিত আইনজীবীর দন্ড স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানানো হয় আবেদনে। একই সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের অনুরোধ জানানো হয়।
প্রসঙ্গত: গত ২৯ এপ্রিল করোনা সংক্রমণ থেকে কারাবন্দীদের বাঁচাতে নির্বাহী আদেশে স্বল্প সাজা ও বিচারাধীন মামলার আসামিদের মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে লিগ্যাল নোটিস দেন অ্যাডভোকেট জুনু। এ পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে বেশকিছু কারাবন্দী আসামি নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তদন্ত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ