Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বর্ষণ ও জোয়ারে চট্টগ্রাম প্লাবিত

বৈশাখে বৃষ্টিসিক্ত সবুজ স্নিগ্ধ প্রকৃতি

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০২০, ১২:০৪ এএম

গ্রীষ্মের বৈশাখ পাড়ি দিচ্ছে তৃতীয় সপ্তাহ। তীর্যক সূর্যের দহনে খরতাপের যাতনাবিহীন মেঘ-বাদলামুখর ব্যতিক্রমী বৈশাখ। করোনা-দুর্যোগকালেও আবহাওয়া-প্রকৃতির সুশীতল আমেজে রোজাদারগণ পাচ্ছেন অপার স্বস্তি ও প্রশান্তি। করোনাকারণে ঘরবন্দি যাপিত জীবনে ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল এবং পরিবার-পরিজনের সঙ্গে সৃজনশীল কাজে সময় অতিবাহিত করার উত্তম সময় অতিবাহিত করছেন অনেকেই।
গতকাল বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামে সকালেই আকাশ ঘনমেঘে ঢাকা পড়ে। হঠাৎ বজ্রের তীব্র গর্জনের সাথে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয় দুপুর অবধি। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, গতকাল বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ২১ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। অনেক স্থানে অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। ক্ষণে ক্ষণে বিদ্যুবিহীন হয়ে পড়ে নগরী ও জেলার অনেক এলাকা। বৃষ্টির সাথে হিমেল হাওয়ায় তাপমাত্রা আরও কমেছে। চট্টগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪.৮ ডিগ্রি সে.।

অসময়ে বৃষ্টির সঙ্গে পূর্ণিমার প্রভাবে সামুদ্রিক জোয়ারের পানি যোগ হয়ে প্লাবিত হচ্ছে নগরীর বিভিন্ন এলাকা। এতে করে অগণিত কর্মমুখী মানুষ, পথচারী, স্থানীয় লোকজনকে নানামুখী দুর্ভোগে পড়তে হয় আগ্রাবাদ সিডিএ, হালিশহর, কাট্টলী, পতেঙ্গা, পাঁচলাইশ, মুরাদপুর, চকবাজার, বৃহত্তর বাকলিয়া, চাক্তাই, শোলকবহর, বহদ্দারহাট, কাতালগঞ্জ, চান্দগাঁও, কালুরঘাটসহ অনেক এলাকায় সড়কে রাস্তাঘাটে পানি থৈ থৈ করে। করোনায় গৃহবন্দি নিম্নাঞ্চলে অনেকেরই বসতঘর দোকানপাট পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে। এ অবস্থায় বর্ষা-পূর্ব প্রবল বর্ষণ ও জোয়ারে পানিবদ্ধতার শঙ্কা ভর করেছে নগরবাসীর মাঝে।

আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, চট্টগ্রামসহ দেশের অধিকাংশ স্থানে আজও অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অব্যাহত রহমতের বৃষ্টির ধারায় সিক্ত চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাহাড়-টিলা, বন-জঙ্গল, উপত্যকায় গাছপালা সজীব সবুজ হয়ে উঠেছে। দূষণ অনেকাংশে কমেছে। পরিবেশ-প্রকৃতিতে এসেছে অন্যরকম স্নিদ্ধরূপ। চট্টগ্রাম, তিন পার্বত্য জেলা ও কক্সবাজারে সর্বত্র বৃষ্টিমুখর আবহাওয়ার সুবাদে বাগানে বাগানে গ্রীষ্ম মৌসুমী ফল-মূল পরিপুষ্ট হচ্ছে। গতকালও দেশের সবক’টি বিভাগের বেশিরভাগ জেলায় অস্থায়ী দমকা ও হিমেল হাওয়ার সাথে বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টি ঝরেছে। আজ তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া বিভাগ জানায়, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। গতকাল বিকেল থেকে এসব অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য এক নম্বর সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। লঘুচাপের একটি বর্ধিতাংশ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও এর সংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্লাবিত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ