Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অর্থকষ্টে সাড়ে ৭ হাজার কাজী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০২০, ১২:০৩ এএম

করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে সারাদেশে চলছে অলিখিত ‘লকডাউন’। অনিবার্যভাবেই বার বার বাড়ছে সরকারি ছুটি। আতঙ্কিত মানুষ দিশেহারা। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ বেরুচ্ছে না। খেয়ে-পরে নিরাপদে বেঁচে থাকাটাই এখন মানুষের মূল চাওয়া। স্বাভাবিক জীবনের সবকিছুই থমকে দাঁড়িয়েছে। অভাবনীয় এ পরিস্থিতিতে বিয়ে-শাদির মতো সামাজিক অনুষ্ঠানাদি যেন অবান্তর, অপ্রাসঙ্গিক।

দেশের এ পরিস্থিতির সাথে জড়িয়ে গেছে দেশের নিকাহ রেজিস্ট্রারদের জীবন-জীবিকা। প্রায় ৩ মাস ধরে তারা কর্মহীন। বিয়ে-শাদী নেই। আয়-রোজগারও নেই। নিকাহ রেজিস্ট্রির মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আদায় করেন তারা। সরকার নিযুক্ত মর্যাদাসম্পন্ন কাজীগণ সরকারের কাছ থেকে কোনো বেতন-ভাতা পান না। বরং বিয়ের নিবন্ধন ফি বাবদ আদায়কৃত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেন।

সরকার নির্ধারিত হারে আদায়কৃত নিবন্ধন ফি থেকে নির্দিষ্ট হারে (প্রতি ১ হাজার টাকায় সাড়ে ১২ টাকা) নিজেরা রাখেন। বাকি অর্থ ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেন। করোনা পরিস্থিতিতে যেমন রাজস্ব আদায় বন্ধ।তেমনি বন্ধ নিকাহ রেজিস্ট্র্রারদের আয়-রোজগার। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে টান পড়েছে তাদের জীবন-জীবিকায়।

‘বাংলাদেশ মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার সমিতি’র সভাপতি মাওলানা কাজী খলিলুর রহমান সরদার জানান, সারাদেশে সরকার নিযুক্ত ৭ হাজার ৭২৬ জন নিকাহ রেজিস্ট্রার রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা জেলায় রয়েছেন ২৩১ জন নিকাহ রেজিস্ট্রার। রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে রয়েছেন ১২৯ জন। একেক জন নিকাহ রেজিস্ট্রারের সঙ্গে গড়ে রয়েছেন ৪ জন স্টাফ। তাদের পরিবার-পরিজন।


ঐতিহ্যবাহী মর্যাদাসম্পন্ন নিকাহ রেজিস্ট্রারগণ (কাজী) মাদরাসার উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত। আত্মমর্যাদার কারণে তারা কারও কাছে হাত পাততে পারেন না। টানা বন্ধে অধিকাংশ কাজী পরিবার চরম অর্থকষ্টে পড়েছে। ওএমএস কিংবা টিসিবি’র পণ্যের জন্য ট্রাকের সামনে লাইনে দাঁড়াতে পারছেন না।
একই সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা কাজী ইকবাল হোসেন বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে আমরা আইনমন্ত্রী মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কোনো ত্রাণ নয়-সুদমুক্ত ঋণ হিসেবেও যদি আমাদের কিছু অর্থ দেয়া হয় তাহলে পেশাগত মর্যাদা সমুন্নত রেখে বৃহত্তর কাজী সমাজ বাঁচতে পারবেন। আমরা এ জন্য অন্তত: ৫শ’ কোটি টাকা সুদমুক্ত ঋণ চাইছি। করোনার এই দুর্দিনে আশা করছি সরকার আমাদের পাশে দাঁড়াবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিকাহ-রেজিস্ট্রার
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ