নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অন্যতম দল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের উপর খেলোয়াড় নিবন্ধনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। তিনজন বিদেশি খেলোয়াড় আর্থিক লেন-দেন নিয়ে সাইফের বিরুদ্ধে নালিশ করার প্রেক্ষিতে ফিফা এই সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পক্ষ থেকে শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য জানানো হয়।
তিন বছর আগে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে খেলার জন্য ট্রায়াল দিতে এসেছিলেন স্লোভাকিয়া, মন্টেনেগ্রো ও সার্বিয়ার তিন ফুটবলার। তাদের নিবন্ধন না করালেও দেনা-পাওনার একটা ঝামেলা ছিল। সেই তিন ফুটবলার দেনা-পাওনা নিয়েই আলাদাভাবে ফিফার কাছে অভিযোগ করেছিল ওই সময়। তখন ফিফা প্রায় এক লাখ ডলার জরিমানা করেছিল সাইফকে। গত ২৩ এপ্রিল ছিল জরিমানা পরিশোধের শেষ দিন। তিন ফুটবলারের পাওনা বাবদ জরিমানাসহ লক্ষাধিক ডলার (প্রায় এক কোটি টাকা) দেয়ার নির্দেশনা ছিল ফিফার। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব সমস্যা সমাধানের আগে স্থানীয় বা বিদেশি কোন খেলোয়াড় নিবন্ধন করতে পারবে না। এটা ফিফার সিদ্ধান্ত। তবে এটা কেবল সাইফের সিনিয়র দলের জন্যই নয়, জুনিয়র দলের জন্যও প্রযোজ্য। তারা জুনিয়র দলেও কোন খেলোয়াড় নিবন্ধন করতে পারবে না যতক্ষণ না ফিফার ডিসিপ্লিনারি কমিটি তাদের বিষয়টির ফয়সালা না করে।
ফিফার সিদ্ধান্তে শঙ্কিত নয় সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব কর্তৃপক্ষ। সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের মালিকানাধীন ক্লাবটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার নাসিরুদ্দিন চৌধুরী ফিফার নিষেধাজ্ঞার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘বর্তমানে করোনাভাইরাস সমস্যা থাকায় আমরা টাকাটা সময় মতো দিতে পারিনি। এখন ফিফার নির্দেশে আমরা অভিযোগকারী তিন ফুটবলারের টাকা পরিশোধ করবো। তবে ওরা (তিন ফুটবলার) বাটপারি করেই টাকাটা নিচ্ছে। আমাদের একটা শিক্ষা হলো।’ স্লোভাকিয়ার ম্যাকো ভিলিয়াম, মন্টেনেগ্রোর সাভা গারদাসেভিচ ও সার্বিয়ার গোরান ওবরাদভিচ পুরোপুরি প্রহসন করেই এই টাকা দাবি করেছেন বলে জানান ইঞ্জিনিয়ার নাসির।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা যখন বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ থেকে বিপিএলে উঠলাম তখনকার কোচ নিকোলাস কয়েকজন বিদেশি ফুটবলার এনেছিলেন ট্রায়ালে। ওই তিন খেলোয়াড়ের মান ভালো ছিল না। তাদের আচার-আচরণও ছিল খারাপ। তারা তো একবার আমাদের এক টিম অফিসিয়ালের গায়ে হাতও তুলেছিল। ২০১৭ সালের প্রথম দিকে প্রাকমৌসুমে তারা ১ মাস ট্রেনিং করেছিল। ওদের বিষয়ে কাগজ-পত্র সই করেছিলেন ওই সময়ের কোচ নিকোলা। ওদের খেলার মান ভালো না হওয়ায় বিদায় করে দেয়া হয়। পরে ওরা ফিফার কাছে অভিযোগ করে।’
তিন ফুটবলারকে ফিফার নির্দেশনা অনুযায়ী দিতে হবে ১ লাখ ৫ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার। এর পাশাপাশি সাইফকে জরিমানা গুনতে হবে ১৫০০০ সুইস ফ্রাঁ (১৩ লাখ ১৬ হাজার ৫৫০ টাকা )। জরিমানার অর্থ যাবে ফিফার তহবিলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।