গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
করোনা টেস্টের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে উপচেপড়া ভিড়। সময়মতো নমুনা দিতে না পারায় ভোগান্তিতে অনেকে। সেইসঙ্গে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। এতে করে আক্রান্তদের কাছ থেকে সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ বলছে, ভোগান্তি কমাতে আগামী সপ্তাহ থেকে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন শুরু করবে তারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, করোনা টেস্ট করতে সকাল থেকেই ভিড় জমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনশো টিকিটের বিপরীতে নমুনা দিতে আসছে প্রায় হাজারের কাছাকাছি। এর ফলে দূরদূরান্ত থেকে আসা অনেকেই নমুনা দিতে পারছেন না। অনেকে কয়েকদিন ঘুরে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। ভেতরে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়াতে হলেও, মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। এতে কারো শরীরে করোনা না থাকলেও, অন্য করোনা আক্রান্তদের কাছ থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকছে।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের প্রশাসন বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, করোনার টেস্ট করতে আসাদের সবাই যে করোনা আক্রান্ত তা কিন্তু নয়। অথচ টেস্টের লাইনে গাঘেঁষাঘেষি করে দাঁড়িয়ে অনেকেই সংক্রমিত হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব মানতে মাইকে বারবার অনুরোধ করা হলেও শুনছেন না কেউ। ভয়ে রোগীদের কাছে যেতেও চান না নিরাপত্তারক্ষীরা।
বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ বলছে, নমুনা দিতে আসা মানুষ বেশি হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সমস্যা সমাধানে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের পাশাপাশি, অন্যান্য হাসপাতালগুলোকে বিএসএমএমইউয়ের "ফিভার ক্লিনিক" মডেল অনুসরণের আহ্বান তাদের।
বিএসএমএমইউ ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সি বলেন, এই হাসপাতালের প্রতি মানুষের আস্থা থাকাতেই ভীড় বেশি হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা অনলাইনে বুকিং দেয়ার সিস্টেম চালু করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।