বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া গৃহবধূর কবর খুঁড়লেন এএসপি সার্কেল আফজাল হোসেনসহ সংবাদকর্মীরা। কবর খোঁড়া থেকে শুরু করে জানাযা ও দাফনকার্য শেষ করতে সেহরির শেষ সময় পর্যন্ত লেগে যায়। পরে তারা সেহরিতে শুধু পানি পানের সময় পেয়ে আজকের রোজা পালন করছেন।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গৃহবধূ ফাতেমা বেগম (৪০) শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় মারা যায়। নমুনা সংগ্রহের পর বিশেষ ব্যবস্থায় তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও গ্রামে গৃহবধূর বাবার বাড়িতে।
কিন্তু সেখানে দাফনে বাঁধা দেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ অন্যান্যরা। এসময় কবর খুঁড়তে কোন লোকজনও এগিয়ে আসেনি। তাতেই নিজের হাতে কোদাল তুলে নেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন। তিনি চাঁদপুরের ( হাজীগঞ্জ ও কচুয়া) সার্কেল এএসপি হিসেবে কর্মরত। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে সহযোগিতা করেন, উপ-পরিদর্শক জয়নাল আবেদীন, স্থানীয় সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম সিফাত, ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন। এ সময় জানাজা ও দাফন কাজে সহযোগিতা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মুখপাত্র মাওলানা যোবায়ের আহমেদ।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ও করোনা বিষয়ক ফোকালপার্সন ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল বলেন, মৃতের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে করোনা টেস্টের জন্য। রিপোর্ট আসলে জানা যাবে মৃত মহিলা করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা। তবে তার মধ্যে করোনার উপসর্গ বিদ্যমান ছিল।
শুক্রবার রাত ৮টায় গৃহবধু ফাতেমা বেগম(৪০) করোনা উপসর্গ জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসেন। এসময় তাকে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয় । মাত্র দেড় ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৯টায় তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।