বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শামসুল হক শারেক, কক্সবাজার অফিস : শিগগিরই চালু হতে যাচ্ছে মহেশখালী খুরুস্কুল ফেরি চলাচল। লাঘব হবে মহেশখালীবাসীর দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ। সম্ভাব্যতা যাচাইর কাজ শেষ। টেকনিক্যাল কমিটির রির্পোট সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে গেলেই কাজ শুরু।
কক্সবাজার শহর থেকে মহেশখালীর দূরত্ব খুব বেশী না হলেও বঙ্গোপসাগরের অংশ ‘মহেশখালী চ্যানেল’ কক্সবাজার থেকে আলাদা করে রেখেছে মহেশখালীকে। ইতিহাসের কোন এক সময় মহেশখালী নাকি ছিল কক্সবাজারের সাথে লাগোয়া ভূখন্ড। কালক্রমে মাঝখানে মহেশখালী চ্যানেল সৃষ্টি হওয়ায় এখন কক্সবাজার মহেশখালী আলাদা দু’টি ভূখন্ড। কক্সবাজার জেলা শহর হওয়ায় মহেশখালীর সকল উন্নয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্যও হয়ে পড়ে কক্সবাজার নির্ভর। কিন্তু ‘মহেশখালী চ্যানেল’ পার হয়ে কক্সবাজারের সাথে যোগাযোগে মহেশখালীর মানুষ সয়ে আসছে যুগের পর যুগ বিড়ম্বনা ও ভোগান্তি। মহেশখালী-কক্সবাজার যোগাযোগে আগের সেকেলে নৌকার পরিবর্তে আধুনিক যোগাযোগ মাধ্যম ষ্পিডবোট যুক্ত হলেও কমেনি মহেশখালীবাসীর সেই বিড়ম্বনা।
দেখা গেছে, মহেশেখালী-কক্সবাজারের আধুনিক যোগাযোগ মাধ্যম স্পিডবোটের প্রচলন হওয়ার পরেও দূর হয়নি মহেশখালীর মানুষের বিড়ম্বনা ও ভোগান্তি। বরং মহেশখালী ও কক্সবাজারে আলাদা দুই ঘাটে একজন পারাপারকারীকে ৪বার ঘাটপান দিতে হয়। এর উপর চড়া রেটে দিতে হয় ষ্পিডবোটের ভাড়া। এক কথায় মহেশখালীর মানুষ জিম্মি হয়ে আছে ঘাইট্টাদের হাতে। মহেশখালী দ্বীপের লাখ লাখ মানুষ ঘাইট্টাদের ওই জিম্মি দশা থেকে মুক্ত করার জন্য দাবী জানিয়ে আসছিল দীর্ঘদিন থেকে। এই জিম্মী দশা থেকে মুক্তির সহজ উপায় হিসেবে ফেরি ডোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের যুক্তি সঙ্গত দাবীটিও ছিল দীর্ঘদিনের।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রশাসক মোস্তাক আহমদ চৌধুরী দীর্ঘদিন থেকে প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন মহেশখালী-কক্সবাজর ফেরি যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য। সম্প্রতি এই দাবী আরো জোরালো হয়ে উঠে। জানা গেছে, বর্তমান সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে মহেশখালী-কক্সবাজার নৌপথে ফেরি যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের নির্দেশ দেয়।
জানাগেছে, কক্সবাজার-মহেশখালী মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ফেরিঘাট সার্ভিস চালু হতে যাচ্ছে শীগগিরই। এ লক্ষ্যে গত ১৮ জুলাই সকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেনের সভাপতিত্বে টেকনিক্যাল কমিটির এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোঃ নুর-উর রহমান এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের যুগ্ম সচিব মানিন্দ্র কিশোর মজুমদার, মহেশখালী-কুতুবদিয়ার এমপি আশেক উল্লাহ রফিক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোঃ আবুল ফজল মীর, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহ সচিব মুঃ আনোয়ার পাশা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শেখ ফরিদ আহমদ (রাজস্ব), কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়–য়া, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুরুল আলম সিদ্দিকী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ মোফাজ্জল হোসেন ও মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকছুদ মিয়া।
মহেশখালী-কুতুবদিয়ার এমপি আশেক উল্লাহ রফিক জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মহেশখালীবাসীর দুঃখ লাঘবে খুবই আন্তরিক। তাই ফেরি চলাচলের ব্যবস্থা নিতে সরকার উদ্দ্যোগ নিয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহেশখালীবাসীর প্রতি আন্তরিক এটা তারই প্রমাণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।