Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

একমাস পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি বানিজ্য শুরু

বেনাপোল অফিস | প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০২০, ৫:২৪ পিএম

করোনার কারণে দীর্ঘ একমাস পর দেশের সর্ববৃহৎ স্থল বন্দর বেনাপোল দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে থেকে দু দেশের মধ্যে আমদানি রফতানি বানিজ্য শুরু হয়েছে। বিকেলে মাত্র ৪ ট্রাক পাটবীজ জরুরী ভিওিতে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে।

নোম্যন্সল্যান্ডে আপাতত ভারতীয় ট্রাক থেকে বাংলাদেশ ট্রাকে মালামাল লোড করে বন্দরে নেয়া হচ্ছে। ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে পণ্যবাহী ট্রাকের জট কমাতে বেনাপোল-পেট্রাপোল চেকপোস্টের নো-ম্যানস ল্যান্ডে ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্য লোড-আনলোডের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দু দেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন।
বুধবার বিকেলে নো-ম্যানস ল্যান্ডে এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে প্রশাসনের সবার সঙ্গে কথা বলে চালু করা হয় আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, অতিপ্রয়োজনীয় ও পচনশীল পণ্য দিয়ে ভারত রফতানি শুরু করবে। পরে অন্যান্য পণ্য আমদানি-রফতানি হবে।
ভারতের পক্ষে পেট্রাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী ও বনগাঁ আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সভাপতি পরিতোষ বিশ্বাস বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি বন্ধ ছিল। বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় পেট্রাপোল বন্দরের সেন্ট্রাল পার্কিং থেকে বনগাঁ পৌরসভার কালিতলা পার্কিং পর্যন্ত ২২১৪ পণ্যবোঝাই ভারতীয় ট্রাক দাঁড়িয়ে আটকে আছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের মতপার্থক্যের জন্য আগের মতো বাণিজ্য চালু করতে বিলম্ব হলো। ফলে পাটবীজসহ বিভিন্ন ধরনের পচনশীল পণ্য ও শিল্প কল-কারখানায় ব্যবহৃত কাঁচামাল আটকে পড়ায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
একই সঙ্গে দুই দেশে প্রায় ৩০-৪০ হাজার মানুষ বেকার হয়ে পড়েছেন। আমদানি-রফতানি চালু হলে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসবে।
করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে বন্দর ব্যবহারকারীদের স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক হ্যান্ড গ্লাভস, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা সাবান পানির ব্যবস্থা থাকছে এন্ট্রি পয়েন্টে।
ভারতের পেট্রাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার এ সোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, করোনাভাইরাসের জন্য ভারত সরকার দফায় দফায় লকডাউন বৃদ্ধি করায় আমদানি-রফতানি চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে দু দেশের ব্যবসায়ী প্রশাসনীক কর্মকর্তাদের সহযোগীতায় পুনরায় বানিজ্য শুরু হলো।

ভারত বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর ডাইেেরক্টর মতিয়ার রহমান জানান, ভারত বাংলাদেশে হাইকমিশনাদের সহযোগীতায় আমাদনি রফতানি চালু করা সম্ভব হয়েছে। তাই ভারতীয় ট্রাক নো-ম্যানস ল্যান্ড পর্যন্ত যাবে। বাংলাদেশি ট্রাকচালক ও শ্রমিকরা সেখান থেকে মালামাল লোড-আনলোড করে নেবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, অতিপ্রয়োজনীয় ও পচনশীল পণ্য দিয়ে রফতানি শুরু হবে। পরে অন্যান্য পণ্য রফতানি হবে। পরিস্থিতি ভালো হলে আগের মতো কাজ শুরু হয়ে যাবে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক মামুন কবির তরফদার বলেন, ভারত যদি পণ্য রফতানি করে; সেই পণ্য বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা যদি নো-ম্যানস ল্যান্ড থেকে গ্রহণ করে তাহলে বন্দরের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ