বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন,
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ধান কেটে ঘরে তুলে ফেলতে পারবো, এবং কৃষকরা ভালো দামেই বিক্রি করতে পারবেন তা। হাওরের কৃষকের মুখে হাসি দেখেছি আমি। আমরা সবসময় বলি বাংলা মায়ের মুখের হাসি ধানের শীষে।। বুধবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার সাংহাই হাওরে কৃষকদের মধ্যে হার্ভেস্টার মেশিন প্রদান ও সদর উপজেলার লালপুর বাজারে অভ্যন্তরীণ বোরো ধান সংগ্রহের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি আরো বলেন, হাওর এলাকায় ধান কাটতে গিয়ে অনেক কৃষক বা শ্রমিক বজ্রপাতে মারা যান। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা বজ্রপাতে মারা যাবে তাদের পরিবারকে এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। এছাড়া আজকে আমি প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার কৃষকদের জন্য নিয়ে এসেছি। তাদের লুঙ্গি, গামছা, সাবান ও সামান্য খাবার রয়েছে। কৃষকরা ধান বিক্রি করে উপকারী হবে বলে মন্ত্রী জানান, এ বছর ফড়িয়ার কোনও সুযোগ নেই। আমি কথা দিচ্ছি সরাসরি কৃষকরা ধান গুদামে দিতে পারবেন। কারণ আমরা প্রকৃত কৃষকের তালিকা করে রেখেছি, যেটা প্রতি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যাবে। সেখানে লটারির মাধ্যমে যার নাম উঠবেই তাকে টেলিফোনে জানানো হবে এবং সেই একমাত্র ধান বিক্রি করতে পারবে সেখানে ফড়িয়ার কোনও সুযোগ নেই।
কৃষি মন্ত্রী বলেন, কৃষকের উন্নয়ন সরকার অনেক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। কৃষকের ঋণের সুদের হার কমিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ফসল, মৎস্য ও খামারিদের ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছেন। এছাড়া সার, বীজ, সেচ, বিদ্যুতের উপর ৯ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এ বছর আগামী যে ফসল আউশ বেশি উৎপাদন করা যায় এবং পাঠ, তীর ও গ্রীষ্মকালীন শাক-সবজি বেশি করে উৎপাদন করা যায় সেজন্য আরও ১৫০ কোটি টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা আগামী আমন পর্যন্ত পরিকল্পনা নিয়েছি। কারণ এ করোনার প্রভাবটা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে, তাই আগামী রবিশস্য বেশি করে উৎপাদন ও চাষাবাদ করার জন্য বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এখনই বীজ সংগ্রহ করতে হবে। এক ইঞ্চি জমি যেন বাদ না যায়। সারা পৃথিবীতে যদি খাদ্য সঙ্কট তৈরি হয় সেখানে বাংলাদেশে ধান চালে এতে উদ্বৃত্ত আছে, আমরা সেই উদ্বৃত্ত নিয়েই বিশ্বের অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতে পারবো। মন্ত্রী বলেন, সুনামগঞ্জ এসে ভালো লাগলো। ইতিমধ্যে সুনামগঞ্জে ৭৫ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। সারা হাওর এলাকায় ৩ লক্ষ ২৫ হাজার শ্রমিক কাজ করছে। সরকার হাওর এলাকায় দ্রুত ধান কাটার জন্য কম্বাইন হার্ভেস্টার দিয়েছেন যার একটি দাম ২৮ লক্ষ টাকা, যেখানে সরকার দিচ্ছে ২১ লক্ষ টাকা আর কৃষক দিচ্ছে ৭ লক্ষ টাকা, যার মাধ্যমে আমরা সারা দেশে ৪০০ অধিক কম্বাইন হার্ভেস্টার দিয়ে হাওর এলাকায় ধান কাটা হচ্ছে। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক, ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, সংরক্ষিত আসনের সাংসদ শামীমা শাহরিয়ার, পৌর মেয়র নাদের বখত, জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদ, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেবুন নাহার শাম্মী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।