Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে ত্রানের বস্তা থেকে চাল উধাও !

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০২০, ৬:৫৫ পিএম

করোনা পরিস্থিতিতে সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কাউন্সিলরদের মাধ্যমে গরিব জনগোষ্ঠীর মধ্যে সরকারি ত্রাণের চাল বিতরণ কার্যক্রমে ঘটেছে তুঘলুঘি কান্ড। আজ বুধবার (২৭ এপ্রিল) সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ডে ত্রান বিতরণ ধরা পড়ে বস্তা প্রতি২/৩ কেজি চাল উধাও ঘটনা।

জানা গেছে, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডের গরিবদের জন্য ৪টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয় কাউন্সিলর শান্তনু দত্তকে (সনতু)। হিসেবে ৩০কেজি করে ৪ টন চাল থাকার কথা ১৩৩ বস্তায়। কিন্তু এই ১৩৩ বস্তার বেশির ভাগ বস্তায়ই ২/৩; এমনকি ৪ কেজি পর্যন্ত কম রয়েছে চাল । এতে প্রায় ২০০ কেজি চাল কম রয়েছে এই ৪ টনের মধ্যে। বুধবার (২৯ এপ্রিল) ১৩ নং ওয়ার্ডের লামাবাজার এলাকায় গরিবদের মধ্যে ২০ কেজি করে চাল দিতে গিয়ে বিষয়টি ধরা পড়ে কাউন্সিলর শান্তনু দত্তের কাছে। তবে এই চালগুলো কে বা কারা কোথায় এবং কীভাবে কমিয়েছে তা এখনই বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা। জেলা খাদ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলছেন- বিষয়টি খতিয়ে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে, প্রতি বস্তায় চাল কম থাকার বিষয়টি সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মনোজ কান্তি দাস চৌধুরীকে তাৎক্ষণিক জানান কাউন্সিলর শান্তনু দত্ত। খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান এবং বিষয়টির সত্যতা পান। এসময় পুলিশ প্রশাসনের লোকজনও উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে কাউন্সিলর শান্তনু দত্ত বলেন, ২০কেজি করে চাল দিতে পরিমানে গড়মিল দেখা দেয়। তিনি বলেন, এ কিস্তিতে ১৩৩ বস্তায় ৩০ কেজি করে ৪ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে আমার ওয়ার্ডে। কিন্তু প্রতি বস্তায় ২/৩, এমনকি কোনো বস্তায় ৪ কেজি পর্যন্তচাল পরিমাপে কম দেখা যায়। সব বস্তা ইলেক্ট্রনিক মাপযন্ত্র দিয়ে পরিমান করা হয়। এরপর বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে সিটি কর্তৃপক্ষ এবং খাদ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জানান কাউন্সিলর সন্তু। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন- শুধু ১৩ নং ওয়ার্ড নয়, ১৬, ১৭ ও ২০ নং ওয়ার্ডেও বরাদ্দকৃত চালের ব্যাপারে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, জেলা খাদ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, তারা যেন বিষয়টি যথাযথভাবে খতিয়ে দেখে, চালখেকো চক্রকে আইনের আওতায় নিয়ে আসেন। এবিষয়ে ঘটনাস্থালে উপস্থিত হওয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মনোজ কান্তি দাস চৌধুরী বলেন, গোদামের দায়িত্বশীলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে কেউ দোষী সাব্যস্থ হলে, তার বিরুদ্ধে নেয়া হবে ব্যবস্থা। এ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করার হবে বলে জানান তিনি ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ