বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজধানী ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে কিডনীসহ নানা সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন নারায়ণগঞ্জের মাসদাইর এলাকার বাসিন্দা মোঃ জামাল উদ্দিন (৭০)। এছাড়া তার ফুসফুঁসে পানিও জমেছিল। গত ২০ এপ্রিল আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তির পর সেইদিনই তার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গত ২৪ এপ্রিল আসা রিপোর্টে জামাল উদ্দিনকে করোনা পজিটিভ উল্লেখ করা হয়। সেদিনই তাকে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে পাঠানো হলে সেই রাতেই তিনি মৃত্যু বরণ করেন।
কিন্তু তার মৃত্যুর ১৩ ঘন্টা পর আবারো পরিবারের এক সদস্যের মুঠো ফোনে ক্ষুদে বার্তা আসে যে, জামাল উদ্দিন করোনা নেগেটিভ। এতক্ষণে লাশ দাফন হয়ে গেছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির মতোই। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে একই ব্যক্তির দুই রকম রিপোর্ট আসায় বিব্রত তার পরিবার। কোন রিপোর্টটি সত্য এনিয়ে দেখা দিয়েছে বিভ্রান্ত। এ কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জামাল উদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা।
মারা যাওয়া জামাল উদ্দিনের ছেলে আবুল বাশার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তার বাবা কিডনী রোগে ভুগছিলেন। চলছিল ডায়ালাইসিস। এছাড়া তার ফুঁসফুসে পানিও জমে গিয়েছিল। গত ২০ এপ্রিল হঠাৎ বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা তাকে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবণতি ঘটলে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
ওই দিনই তার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গত ২৪ এপ্রিল আসা রিপোর্টে উল্লেখ ছিল তার বাবার করোনা পজিটিভ। করোনা পজেটিভ লেখা একটি রিপোর্টের ফটোকপি দিয়ে আজগর আলী হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। ওইদিনই তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেই রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মার যান তার বাবা (জামাল উদ্দিন)।
কুর্মিটোলা থেকে ডেথ সার্টিফিকেটেও জামাল উদ্দিন করোনায় মারা গেছেন বলে উল্লেখ করা হয়। মৃত্যুর পরদিন ২৫ এপ্রিল দুপুর তিনটার দিকে ফোনে ম্যাসেজ আসলো বাবার করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। এ রিপোর্ট পেয়ে ভেঙ্গে পড়েন তার পরিবার।
বাশার আরও বলেন, ২৪ এপ্রিলের রিপোর্টে যদি তার বাবার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট না আসতো তাহলে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টেই থাকতেন বাবা। হয়তো তিনি বেঁচেও যেতেন। রিপোর্টের এই ভুল খুনের শামিল বলে তিনি উল্লেখ করেন।ওই রিপোর্টের কারণেই ডেথ সার্টিফিকেটেও লেখা হলো করোনা পজেটিভ। এই কারণে দাফনের সময় বাবার লাশের সামনেও যেতে পারিনি। দূর থেকেই বাবার দাফন দেখেছি, জানাজাতেও অংশ নিতে পারিনি। এ কষ্ট ভোলার মতো নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।