নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার আর দীর্ঘায়িত করতে চাইছেন না জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও দেশসেরা মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলাম। তাই তো আন্তর্জাতিক ফুটবলকে ‘না’ বলার অপেক্ষায় আছেন তিনি। বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস আতঙ্ক কেটে গেলে জাতীয় দলের হয়ে যে কোনো একটি ম্যাচ খেলেই আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মামুনুল।
জাতীয় দলের ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে’র দলে সব সময়ই সুযোগ পেয়ে থাকেন মামুনুল ইসলাম। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এখন পর্যন্ত খেলা চারটি ম্যাচেই স্কোয়াডে ছিলেন। এটা বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, দলের ভাবনা-চিন্তার মধ্যে এখনো আছেন তিনি। তবে তরুণদের জায়গা করে দিতেই আর থাকতে চাইছেন না জাতীয় দলে।
আগের সূচী অনুযায়ী চলতি বছর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে তিনটি হোম ও একটি অ্যাওয়ে ম্যাচ আছে বাংলাদেশের। করোনাভাইরাসের প্রকোপ না থাকলে ইতোমধ্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোম এবং কাতারের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলা হয়ে যেত লাল-সবুজদের। হয়তো এরই মধ্যে মামুনুলও অবসর নেয়ার মোক্ষম সুযোগটি পেয়ে যেতেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এ বছর ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের তিনটি ম্যাচ আছে। এর যে কোনো একটি ম্যাচের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানানোর ইচ্ছা আছে আমার। এ বিষয়ে কোচের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। গত মার্চে আফগানদের বিপক্ষে হোম ম্যাচ খেলা হলে হয়তো সেই সুযোগ হতো। কিন্তু এখন অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।’
২০০৭ সালে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ দিয়ে শুরু হয়েছিল মামুনুলের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। এরপর সব মিলিয়ে ৮০টির মতো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন তিনি। হঠাৎ অবসরের সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে এই মিডফিল্ডার বলেন,‘অনেক তো হলো, আর কতো? আমি অবসরে গেলে সেই স্থানে একজন জুনিয়র খেলোয়াড়ের সুযোগ হবে। আমি চাইলে আরো এক বছর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার চালিয়ে নিতে পারতাম। কিন্তু খেলা চালিয়ে গেলে জুনিয়র খেলোয়াড়ের হয়তো সুযোগ হবে না। তাই ভেবে-চিন্তেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সামনের যে কোনো একটি ম্যাচ খেলেই বিদায় জানাবো আন্তর্জাতিক ফুটবলকে।’
আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানালেও ঘরোয়া আসরের নিয়মিত খেলে যেতে চান ঢাকা আবাহনীর মিডফিল্ডার মামুনুল। তার কথায়, ‘ঘরোয়া ফুটবলে আমার খেলার সুযোগ আছে। তাই এখান থেকে বিদায় নিচ্ছি না। যতদিন পারবো খেলে যাবো।’
জাতীয় দল থেকে অবসর নেওয়ার পর পরিবারকে আরো বেশি সময় দেওয়ার ইচ্ছা মামুনুলের। এ নিয়ে তিনি বলেন,‘অবসর নিতে পারলে তখন যে সময় পাবো, তা পরিবারকে দেওয়ার ইচ্ছা আছে। ফুটবলের ব্যস্ত সূচির কারণে একমাত্র ছেলে মোহাইমেনুল ইসলাম আজলনানকে এখন সেভাবে সময় দিতে পারি না। জাতীয় দল থেকে অবসর নিলে তখন সময় দেয়ার সুযোগ পাবো।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।