Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীনকে কৃতকর্মের পরিণতি ভোগ করতে হবে : ট্রাম্প

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০২০, ৩:৩৪ পিএম

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সপ্তাহান্তে সংবাদ সম্মেলন করে করোনা সংক্রান্ত কোনও তথ্যও দেননি। গতকাল সোমবার ফের ক্যামেরার সামনে আসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে দাঁড়িয়ে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিতর্কিত মন্তব্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন। আবারও লক্ষ্যবস্তু করলেন চীনকে। হুঙ্কার দিলেন, তদন্ত শেষে বেইজিংকে পরিণতি ভোগ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস ছড়াতে শুরু করার পর থেকেই চীনকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছেন ট্রাম্প। সোমবার তার মন্তব্য, “চীন চাইলে দেশের মধ্যেই সংক্রমণ আটকে রাখতে পারতো। গোটা বিশ্বে ছড়াতে দিতো না। কিন্তু চীন তা করেনি। আমরা খুব সিরিয়াস তদন্ত শুরু করেছি। চীনকে কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে হবে।”
এক সময় করোনাকে ‘চীনা ভাইরাস’ বলে দাবি করতেন তিনি। যার জেরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং জাতিসংঘ তাকে সতর্কও করেছিল। এরপর ট্রাম্প অভিযোগ করেছিলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনের হয়ে কাজ করছে। যে কারণে প্রেসিডেন্টের নির্দেশে আপাতত ওই সংস্থাকে অর্থ দেওয়াও বন্ধ রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার আবার সেই প্রসঙ্গ তোলেন ট্রাম্প। তার অভিযোগ, চীনের মূল এলাকা থেকে ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য আরও অনেক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। সরাসরি না বললেও ট্রাম্পের ইঙ্গিতে স্পষ্ট, করোনা ভাইরাস ছড়ানোর জন্য তিনি বেইজিং-এর 'সক্রিয়' ভূমিকার দিকে আঙুল তুলছেন।
করোনা মহামারির জন্য এভাবেই চীনকে সরাসরি দায়ী করে হোয়াইট হাউজে সোমবার সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখেন ট্রাম্প। থবর ডয়েচে ভেলের।
যুক্তরাষ্ট্র একা নয়, বিশ্বের বহু দেশই করোনার সংক্রমণের জন্য আকারে ইঙ্গিতে চীনকেই দায়ী করছে। তারই মধ্যে চীনের কিছু ঘটনা প্রশ্ন আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। সম্প্রতি চীনের তিন ইন্টারনেট অ্যাকটিভিস্ট বা আন্দোলনকারী নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। যাঁরা নিখোঁজ, তাঁদেরই পরিবারের এক সদস্য খবরটি প্রকাশ করেছেন। অভিযোগ, ওই তিন আন্দোলনকারী চীনে করোনা ভাইরাসের উৎস এবং সংক্রমণ নিয়ে বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করে ফেলেছিলেন। তারপরেই তাঁরা নিখোঁজ হয়ে যান। কেন তাঁরা হারিয়ে গেলেন? করোনার কী এমন তথ্য হাতে এসেছিল তাঁদের? কারা তুলে নিয়ে গেল তাঁদের? বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, চীনের প্রশাসনই এর জন্য দায়ী। গোপন তথ্য যাতে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে না যায়, সে কারণেই তাঁদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদিও চীনের প্রশাসন বা সংবাদমাধ্যম এ বিষয়ে কিছু জানায়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ