যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা গিয়াস আহমেদ, জিল্লুর রহমান জিল্লু ও মিজানুর রহমান মিল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য পদে যুক্ত হলেন
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির তিন নেতাকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ প্রাপ্তরা হলেন
প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে মর্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থেকেও অর্থিক সহায়তা নিয়ে বাংলাদেশি অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ালেন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার আমেরিকা প্রবাসী শিক্ষানুরাগী মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী। তিনি আমেরিকার নিউইয়র্কে ট্যাক্সি চালান।বর্তমানে লকডাউনের জন্য বাসায় আছেন, কোনো কর্ম নেই।কিন্তু নিজে কষ্টে থাকলেও তিনি ভুলে যাননি মাতৃভূমির কথা, গ্রামের অসহায় মানুষদের কথা।
নিজস্ব অর্থায়নে তিনি কুমিল্লার ব্রাম্মণপাড়া কলেজ পাড়া ও ধান্যদৌলসহ বিভিন্ন গ্রামে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে কর্মহীন, গরীব ও অসহায় পরিবাররের মাঝে নগদ অর্থ ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করিয়েছেন।
তিনি এলাকায় একজন শিক্ষানুরাগী হিসেবে পরিচিত। ব্রাম্মণপাড়া মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও ব্রাম্মণপাড়া আব্দুল মতিন খসরু মহিলা কলেজসহ ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা। এক রূপকথার গল্পের নায়কের ন্যায় মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী এসবও করেছেন আমেরিকায় ট্যাক্সি চালিয়ে। তিনি নিউইয়র্কে ট্যাক্সি চালিয়ে আয় থেকে বেশিরভাগটাই খরচ করেন পরিবার, সমাজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য।
তার যেন উদ্দেশ্য একটাই, কোনো মতে দিন কাটিয়ে টাকা জমাতে হবে। জনহিতকর কাজে লাগাতে হবে। আর এই কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে মানুষের বিপদে আপদে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তিনি। তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, নিউইয়র্কে কখনো ডিম, কখনো ডাল বা আলু ভর্তা দিয়ে দু বেলা খেয়ে কোনোরকমে তার দিন কাটে। আয়ের এক অংশ পরিবারের জন্য দেন, অবশিষ্ট টাকা সামাজিক কাজে ব্যয় করেন। কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে গড়ে তুলেছেন কেজি স্কুল থেকে শুরু করে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়।
তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুনেছেন এবং দেখছেন নিজ জন্মভূমিতে ভয়াল করোনার কারণে অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছে। সেই থেকে ভাবতে থাকেন নিজ এলাকা ব্রাম্মণপাড়ার কথা।তিনি তার সেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে গোপনে গোপনে মধ্যবিত্ত ও অসহায় পরিবারের তালিকা করতে থাকেন এবং টাকা পাঠিয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন খাদ্যসামগ্রী কিনে যেন রাতের আঁধারে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসেন। কোন ফটোসেশন যেন না হয়, সেদিকেও তার ছিল কড়া নির্দেশনা।
মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী জানান, এ পর্যন্ত ২ শতাধিক অসহায় পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ ও খাদ্যসামগ্রী দিয়েছেন এবং এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, লবন, আলুসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য।
তিনি বলেন, এই মহামারীতে চলে এসেছে পবিত্র মাহে রমজান। কিন্তু এবার মহামারী করোনার কালো ছায়ায় হারিয়ে গিয়েছে সকল আনন্দ আর রমজানের আমেজ। কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষেরা ঘরে থাকায় অনেক কষ্টে দিনযাপন করছেন। এমন পরিস্থিতিতে অনেকে লজ্জায় চাইতে পারছেন না। তাই এমন সময়ে দু’শতাধিক অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। তিনি বিত্তশালীদের আরও বেশি উদারভাবে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান। একইসাথে তিনি সাবেক আইনমন্ত্রী এডভোকেট আবদুল মতিন খসরুসহ যারা এলাকায় রমজানের উপহারসামগ্রী বিতরণ করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান।
প্রবাস জীবন বিভাগে সংবাদ পাঠানোর ঠিকানা
probashjibon.inqilab@gmail.com
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।