নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রাণঘাতি করানোভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সবখানেই। এই ভাইরাসের সংক্রামণ ঠেকাতে দেশে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে অলিখিত লকডাউন। এতে জন-জীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। একই অবস্থা ক্রীড়াঙ্গনেরও। করোনাভাইরাসের প্রভাবে বন্ধ রয়েছে সব খেলাধুলা। স্থগিত আছে ঘরোয়া ফুৃটবল ও ক্রিকেটের মর্যাদাপূর্ণ আসরগুলো। কবে করোনা দুর্যোগ কেটে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তা বলা মুশকিল। চলমান পরিস্থিতিতে আর্থিক ক্ষতি করো কিন্তু কম হচ্ছে না। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) দাবি করছে, করোনাভাইরাসের কারণে চলমান পরিস্থিতিতে তাদের ক্ষতি হয়েছে ৫ থেকে ৭ কোটি টাকা!
করোনা দুর্যোগ শুরু হওয়ার আগে ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল), নারী ফুটবল লিগসহ চলছিল জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ও স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের খেলা। এছাড়া পেশাদার ফুটবলের দ্বিতীয় স্তর খ্যাত বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের (বিসিএল) দলবদলও শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপে সবকিছুই এখন স্থগিত। যে জন্য বড় রকমের আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়েছে দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা। এ নিয়ে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ সোমবার বলেন, ‘আমাদের যে লিগগুলো চলছিল সেগুলো ছাড়াও জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ও স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের খেলা এখন স্থগিত রয়েছে। বিভিন্ন কাজ-কর্মও এখন বন্ধ। করোনা দুর্যোগ কবে কাটবে এবং কবে খেলা শুরু হবে, তা বলা কঠিন। এর জন্য আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। বলতে পারেন, সবকিছুর জন্য পাঁচ থেকে সাত কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে আমাদের।’
আর্থিক ক্ষতির বিষয়ে ফিফা এবং এএফসিকে জানানো হয়েছে। এমন তথ্য জানিয়ে সোহাগ আরো বলেন, ‘এই আর্থিক ক্ষতির বিষয়ে আমরা ফিফা এবং এএফসিকে জানিয়েছি। এখন দেখা যাক তারা কেমন সহযোগিতা করে। বিপিএলের ক্লাবগুলো আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছে আমাদের কাছে। আমরা বিষয়টি ফিফা-এএফসিকে জানিয়েছি। আশা করছি তাদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাবো।’
অবশ্য এরই মধ্যে করোনাভাইরাস ইস্যুতে ফিফা তার প্রত্যেক সদস্য দেশকে পাঁচ লাখ ডলার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এ বিষয়ে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক বলেন ‘আমরা বার্ষিক বরাদ্দ যেটা পেতাম, তারই একটি অংশ আগে-ভাগে পাচ্ছি। করোনার জন্য অতিরিক্ত কোনো অর্থ পাচ্ছি না। এই অর্থের হিসেবও দিতে হবে আগের মতোই। এই অর্থ দিয়ে আমাদের দৈনন্দিন যে খরচ আছে, সেটা মেটানো হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।