নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বলের উপর কৃত্রিম কোনো কিছু ব্যবহার করে এর আকৃতি বদলের চেষ্টা ক্রিকেটে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এমন কিছু করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় অনেকেই সাজার মুখে পড়েছেন। যদিও আম্পায়ারদের চোখ এড়িয়ে নানান কৌশলেই চলে বল টেম্পারিং। তবে এবার তা বৈধই করে দিতে পারে আইসিসি! আর তার কারণ না-কি করোনাভাইরাসের প্রভাব!
মূলত বলের এক পাশের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে (শাইন করতে) বোলার, ফিল্ডাররা মুখের থুতু ব্যবহার করেন। এক জনের থুতু ব্যবহৃত বল কয়েক জনের হাত ঘুরে যায়। করোনাভাইরাসের কারণে এটি আর নিরাপদ মনে করছে না আইসিসির মেডিকেল দল। বল চকচকে রাখতে তাই কৃত্রিম পদার্থ ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারে আইসিসি। ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, গেল বুধবার আইসিসি সভায় এই নিয়ে না-কি আলোচনাও হয়েছে।
মূলত লাল বলের টেস্ট ক্রিকেটে স্যুয়িং পেতে বলের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু করোনাভাইরাসের পর খেলা ফের চালু হলে থুতু ব্যবহার নিষিদ্ধ করে দেওয়ার আলোচনা জোরালো হচ্ছে। এতে বোলাররা পড়েছেন চিন্তায়। এই ব্যাপারে প্রতিনিয়তই উদ্বেগের কথা জানাচ্ছেন পেসাররা। অস্ট্রেলিয়ার পেসার জস হ্যাজেলউড মনে করেন, ওয়ানডেতে কাজ চালানো গেলেও বলের শাইন ছাড়া টেস্ট খেলা তাদের জন্য রীতিমতো দুঃস্বপ্ন, ‘আমার মনে হয়, ওয়ানডেতে চালানো যায়। কিন্তু টেস্টে, বিশেষ করে লাল বলে, শাইন না করে স্যুয়িং পাওয়া মুশকিল। এটা (থুতু/লালার ব্যবহার বাতিল) বোলারদের কাজটা দুর্বিষহ করে দেবে।’
বোলারদের এই অবস্থার কথা ভেবেই না-কি আইসিসি কৃত্রিম কোনো পদার্থ আম্পায়ারদের তত্ত্বাবধায়নে ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারে। অর্থাৎ বল টেম্পারিং ক্রিকেটের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে যেতে পারে। অথচ বল টেম্পারিং নিয়ে ক্রিকেটে তোলপাড় তো কম হয়নি! পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুসরা একাধিকবার অভিযুক্ত হয়েছেন এই ইস্যুতে। দুই বছর আগে টেম্পারিং ইস্যুতে ঘটে সবচেয়ে বড় ঘটনা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শিরিষ কাগজ দিয়ে বল ঘষে ধরা পড়ে অপদস্থ হয় অস্ট্রেলিয়া।
অজি অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের স্বীকারোক্তির পর প্রতারণায় দায়ে পড়ে দলটি। এতে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন স্মিথ ও সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। নিষেধাজ্ঞা পান দলের নির্দেশ মেনে টেম্পারিং করা ক্যামেরন ব্যানক্রফট। প্রধান কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয় ড্যারেন লেম্যানকে।
অবশ্য বর্তমানের মতো বিশেষ পরিস্থিতিতে নয়, সবকিছু স্বাভাবিক থাকাকালেও বল টেম্পারিংকে বৈধ করে দেওয়ার দাবি উঠেছে কয়েক দফা। সাবেক ক্রিকেটারদের কেউ কেউ ক্রিকেটে বোলার ও ব্যাটসম্যানের মধ্যে ভারসাম্য আনতে সীমিত পরিসরে বল টেম্পারিং বৈধ করে দেওয়ার কথা বলেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।