Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফরিদপুরে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ

ফসল নষ্ট-দুপক্ষের আহত ৭জন

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ এপ্রিল, ২০২০, ৬:২৪ পিএম

ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া গ্রামের ব্যবসায়ী আলীম চোকদারের বাড়ীতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। তুচ্ছ ঘটনায় বাড়ী-ঘর, আসবাবপত্র ভাংচুর ও ৫জনকে কুপিয়ে-পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই ঘটনায় অপর পক্ষও হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ করেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় ইউনিয়নের সাচিয়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তিতে হাসমত ফকির গং ও হালিম শেখ গং এর মধ্যে বৈঠক হয়। বৈঠক চলাকালে দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতি হয়। খবর পেয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানা পুলিশের এক দল ঘটনাস্থলে গেলে তাৎক্ষণিক উত্তেজনা থেমে যায়। দুপক্ষকে থানায় যাবার কথা বলে পুলিশ চলে আসে। এরপর বেলা ১টার দিকে স্থানীয় ৪নং ওয়ার্ডের ইউ,পি সদস্য হাসমত ফকির শতাধিক লোকজন নিয়ে হালিম শেখের সমর্থক ব্যবসায়ী আলীম চোকদারের বাড়ীতে গিয়ে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট করে বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার অভিযোগ করে। এসময় লুটপাট ঠেকাতে গিয়ে গুরুতর আহত হন এলাকার নাসির শেখ (২৫), হালিম শেখ (৬৫), খলিল ফকির (৪০), জালাল মোল্যা (৩৫), হান্নান ফকির (৩২) আহত হন। এদের মধ্যে হালিম শেখ-কে গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীরা মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম ও আঘাতের চিকিৎসা নিয়ে বাড়ীতে রয়েছেন। হামলার পর এই পরিবারের ২ বিঘা জমির ভূট্টা ও পটল কৃষি ক্ষেত একেবারে নষ্ট করে দিয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

হামলার অভিযোগের বিষয়ে ইউ,পি সদস্য হাসমত ফকির বলেন, অভিযোগ সত্য নয়। আমি কাউকে আঘাত করিনি। দুপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। আমি চেষ্টা করেছিলাম থামাতে। কিন্তু পারিনি। দুপক্ষের লোকই একে অপরের বাড়ী ঘরে হামলা করেছে। দুপক্ষের লোকই আহত হয়েছে।
হাসমত ফকির আরো বলেন এই পক্ষের আবুল বেপারী ও পারভেজ বেপারী আহত হয়ে ফমেক হাসপাতালে রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশও এসেছিল, তারা আমাদেরকে আগামীকাল দুপক্ষের লোককে থানায় যেতে বলেছে।

ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা জানান, যার সঙ্গে ভেজাল তার বাড়ীতে হামলা না করে আমাদের বাড়ীতে হামলা করে খাট, সোকেস, কম্পিউটার, ফ্রিজসহ ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্থ করে লুটপাট করেছে।

ক্ষতি গ্রস্থ ব্যবসায়ী আলীম চোকদার জানান, আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সল্প পরিমান জায়গা থাকায় দোকানের বেশিরভাগ মালামাল নিজ বাড়ির গোডাউনে রাখি। ঐ গোডাউন থেকে মজুদকৃত প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মালামাল ও প্রায় দেড় লক্ষ টাকার সোনা- গহনা সামগ্রী নিয়ে যায় হামলাকারীরা। তিনি আরো জানান আমার আরো দুই ভাই আলম চোকদার ও হাবিন চোকদারের বাড়ি ও ভাংচুর করেন ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অভিযোগ

১৩ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ