বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ বিল জমা না নেয়ায় দক্ষিণাঞ্চলে ৬টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিসহ ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) অন্তত ১০টি বিতরণ বিভাগের অর্থনৈতিক ভীত দুর্বল হতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাকে লকডাউন করা হয়েছে। ব্যাংকগুলো সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সীমিত আকারে খোলা থাকলেও বিদ্যুৎসহ কোন ইউটিলিটি বিল গ্রহণ করছে না।
যদিও বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপসসহ অনলাইন লেনদেনে বিদ্যুৎ বিল দেয়ার সুবিধা চালু রয়েছে কিন্তু ওইসব লেনদেনের জন্য যে রিচার্জ করতে হবে তাও সম্ভব হচ্ছে না ভেন্ডরদের দোকান খোলা না থাকায়।
বিদ্যুৎ বিতরণ ও বিপণন সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যখনই ব্যাংকগুলো বিল জমা নেবে, তখনই গ্রাহকরা কোন ধরনের বিলম্ব ফি ছাড়া জমা দিতে পারবেন। তবে এ বিলম্ব যদি দীর্ঘায়িত হয়, তবে ওজোপাডিকো এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থা নাজুক হয়ে পড়বে। কারণ পিডিবির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনে তা বিতরণ ও বিপণন করতে হয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এবং ওজোপাডিকোকে। তাদেরকে টাকা দিতে হবে। উপরন্তু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও প্রশাসনিক ব্যয় ছাড়াও অনেক সময়ই জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়ও স্থানীয়ভাবে মেটাতে হয়।
বরিশালের দুটি সমিতি ছাড়াও পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল জমা হচ্ছে না। এসব গ্রাহকের কাছে বিক্রিত বিদ্যুৎ থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে সমিতিগুলো মাসে প্রায় ৬০ কোটি টাকা বিল সংগ্রহ করার কথা। ভিড় এড়ানোর লক্ষ্যেই ব্যাংকগুলো কোন ইউটিলিটি বিল গ্রহণ করছে না। তবে একাধিক ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন নির্দেশনা নেই।অপরদিকে ওজোপাডিকো দক্ষিণাঞ্চলে ৬টি জেলা সদর এবং ৪টি উপজেলা সদরসহ ১০টি বিতরণ বিভাগের মাধ্যমে প্রায় পৌঁনে ৩ লাখ গ্রাহকের কাছ থেকে গত ২৫ মার্চের পরে কোন বিদ্যুৎ বিল সংগ্রহ করতে পারেনি। বিক্রিত বিদ্যুৎ থেকে ওজোপাডিকোর মাসে প্রায় ১৫ কোটি টাকা বিল পাবার কথা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।