মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নতুন করোনাভাইরাস সম্পর্কে এখনো অনেক কিছুই অজানা। তবে গবেষকরা করোনা সম্পর্কে একটি বিশেষ প্রশ্নের উত্তরের জন্য খোঁজ করছেন। সেটি হচ্ছে, উষ্ণ তাপমাত্রা কি করোনা বিস্তারকে কমিয়ে দেয়?
উষ্ণ তাপমাত্রা করোনা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হলে জার্মানি, স্পেনে আসন্ন গ্রীষ্মে এই প্রাদুর্ভাব কমে যেতে পারে। যেসব দেশে আবহাওয়া সাধারণত গরম থাকে যেমন, ভারত, বাংলাদেশ- এসব দেশে ইতালি ও নিউ ইয়র্ক থেকে সংক্রমণ অনেক কম হওয়ার কথা। অনেক বিজ্ঞানী গরমে করোনার বিস্তার কমিয়ে আসার পূর্বাভাস দিয়েছেন, তবে কতটা দিয়ে তা বলতে পারেননি। দেখা গেছে, প্রতিটি সংক্রামক ব্যাধি ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এর গতিপ্রকৃতি পাল্টায়। ফ্লু সাধারণত শীতের সময় হয়। ঠিক যেমনটা এসেছে করোনাভাইরাস। অন্যদিকে টাইফয়েড আসে গরমে। এখন তাই অনেকের ধারণ, শীতে শুরু হওয়া করোনাভাইরাস তবে কি ঋতু পরিবর্তন অর্থাৎ, গরমে কমে যাবে? অনেকে আশা করে বসে আছেন গ্রীষ্মকাল আসতেই চড়া রোদে মরে যাবে করোনাভাইরাস।
কিন্তু ফ্রান্সের এক্স-মার্সাই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, ৯২ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রায় করোনা জীবাণু বেঁচে থাকতে পারে। অর্থাৎ, ভারত, বাংলাদেশের গ্রীষ্ম এই জীবাণু ধ্বংস করতে যথেষ্ট নয়। তাই যারা ভাবছিলেন, গরম বাড়লেই করোনা পালাবে, তারা ভুল ভাবছিলেন।
গবেষকরা জানিয়েছেন, পানি টগবগ করে ফোটাতে যে তাপমাত্রা লাগে, অর্থাৎ ১০০ ডিগ্রির কাছাকাছিতে এই জীবাণু বাঁচে না। যে স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা জীবাণু নিয়ে কাজ করেন, তাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজ করছিলেন তারা। তখনই পরীক্ষা করে দেখেন, ঠিক কখন এই জীবাণু নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়া তো বটেই, মেইনস্ট্রিম মিডিয়াতেও বলা হয় যে, গরম আবহাওয়ায় করোনা টিকবে না। কিন্তু গবেষকরা বলছেন এসব দেশের ৪২-৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রাও যথেষ্ট নয় করোনা নিয়ন্ত্রণে। তারা বলছেন, এক ঘণ্টা ধরে ৬০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রেখেও দেখা গেছে, করোনা জীবাণু নিজের ক্লোন তৈরি করতে সক্ষম।
একমাত্র ৯২ ডিগ্রিতে ১৫ মিনিট ধরে রাখার পর দেখা যাচ্ছে, ভাইরাস মারা যাচ্ছে। আর তাই শাকসবজি থেকে ফলমূল, বাজারের সবই ফুটন্ত গরম পানি ঢেলে ধুয়ে নিতে বলছেন চিকিৎসকরা। নিষেধ করছেন কাঁচা দুধ বা কাঁচা সবজি খেতে। এমনকি বিধিনিষেধ চাপিয়েছেন ফ্রিজে রাখা বাসি খাবারের উপরও। ব্যবহৃত জামাকাপড়ের ক্ষেত্রে সেগুলিকে গরম পানিতে ধুয়ে, দিনভর কড়া রোদে শুকানোরও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সূত্র : ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।