বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেট বিভাগে শনিবার একদিনেই সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে মারা গেছেন ৯জন। বন্যার শঙ্কায় থাকা কৃষকদের জন্য মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে বজ্রপাত ভীতি। হাওরাঞ্চলের এখন ধান কাটার মৌসুম চলছে। বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বন্যার শঙ্কাও দেখা দিয়েছে। ফলে দ্রুত ধান কাটার নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন। শনিবার বজ্রপাতে সিলেট জেলায় ৪ জন, সুনামগঞ্জে ৪ ও হবিগঞ্জে একজন মারা যান। এরমধ্যে সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদে বজ্রপাতে মারা যান বাবা ও ছেলে। নিহতরা হলেন- ইউনিয়নের পুরান কালারুকার পূর্ব উত্তরপাড়ার শমসের আলী ও তার ছেলে ছয়ফুল আহমদ। বিকেলে ধান কাটার সময় কালবৈশাখীর ঝড়ের সাথে প্রচণ্ড বজ্রপাতে মারা যান তারা। একই সময়ে জেলার জকিগঞ্জে বজ্রপাতে ইসলাম উদ্দিন বলই (৪০) নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের দরগাবাহারপুর গ্রামের আতাই মিয়ার ছেলে ইসলাম মাঠে গরু আনতে গিয়ে মারা যান। এর আগে জেলার ওসামনীনগরে বজ্রপাতে রাহি আহমেদ (১৬) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়। শনিবার সকাল ১১টার দিকে মাঠে ধান কাটতে গেলে বজ্রাঘাতের শিকার হয়ে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। এদিকে, সুনামগঞ্জে নিহতরা হলেন- শাল্লা উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের সুরেন্দ্র সরকারের ছেলে শংকর সরকার (২৬), জগন্নাথপুর উপজেলার বাউধরণ গ্রামে শিপন মিয়া (৩২) ও দিরাই উপজেলায় হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার মফিজ উল্লার ছেলে তাপস মিয়া (৩৫) ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের উত্তর গাজীনগর গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে ফরিদ মিয়া (৩৫)। শাল্লা উপজেলা নারায়ণপুর গ্রামে শংকর মিয়া বাড়ি থেকে স্থানীয় শাসখাই বাজারে যাওয়ার পথে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। অপরদিকে জগন্নাথপুর উপজেলার বাউধরণ গ্রামের কৈচাপরী এলাকার বাসিন্দা শিপন মিয়া সকালে নলুয়ার হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মারা যান। অন্যদিকে দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়নের চিনাউরা হাওরে কাজ করতে আসা হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার তাপস মিয়া বজ্রপাতে প্রাণ হারান। আর দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার ফরিদ মিয়া দুটি গরু নিয়ে গাজীর খাল নামক হাওরে যান। এ সময় ঝড়ের সাথে বজ্রপাত শুরু হলে বাড়ি ফেরার পথে গরুসহ বজ্রপাতে তার মৃত্যু ঘটে। শনিবার সকালে মাধবপুর পৌরসভার মুরাদপুর গ্রামের অলি ইসলাম ছেলে লালু মিয়া (৩৯) ধান কাটতে মাঠে গেলে বজ্রপাতে তিনি আহত হন। পরে হাসপাতালে মারা যান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।