চট্টগ্রাম অঞ্চলে এবার বোরোর আবাদ কম হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার নয় হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ কম হয়। ফলে এ বছর ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলেন, ভ‚গর্ভস্থ পানির স্তর স্বাভাবিক রাখতে বোরোর বদলে আউশ ধানের আবাদ করতে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। আউশে প্রণোদনাও দেয়া হয়েছে। এতে বোরোর আবাদ কিছুটা কম হয়েছে।
তবে মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দাম না পাওয়ায় হতাশ কৃষকদের মধ্যে বোরোর আবাদের আগ্রহ নেই। তাছাড়া সেচ নির্ভর হওয়ায় বোরোর আবাদও ব্যয়বহুল। লোকসানের আশঙ্কায় চাষ কম হয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে বোরো ধানের আবাদ কমেছে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর।
গত বছর দুই লাখ ৩৯ হাজার ৬৪৪ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হলেও চলতি বছরে সেটা কমে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৩০ হাজার ৪৬২ হেক্টরে। এবার ২ লাখ ৪১ হাজার ৩১৭ হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়। চাষ হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার ৪৬২ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কম প্রায় ১১ হাজার হেক্টর। এ বছর চট্টগ্রাম জেলায় বোরো আবাদ হয়েছে ৫৬ হাজার ৪২ হেক্টর, গতবছর চাষ হয়েছিলো ৬০ হাজার ৮৮৪ হেক্টর জমিতে। গতবারের তুলনায় ৪ হাজার ৮৪২ হেক্টর জমিতে চাষ কম হয়েছে।
কক্সবাজার জেলায় ৫২ হাজার ৮৮৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে, গতবছর চাষ হয়েছিলো ৫৬ হাজার ৯৭০ হেক্টর জমি। গতবারের তুলনায় ৪ হাজার ৮৫ হেক্টর চাষ কম হয়েছে। নোয়াখালী জেলায় ৬৫ হাজার ৬৪০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে, গতবার চাষ হয়েছিলো ৬৩ হাজার ৬২৫ হেক্টর জমিতে। আগের চেয়ে এবার এ জেলায় ২ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হয়েছে।
ফেনী জেলায় ২৬ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়, গতবছর চাষ হয়েছিলো ৩০ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে। গতবারের চেয়ে চাষ কম হয়েছে ৩ হাজার ৮৬৫ হেক্টর। লক্ষ্মীপুরে ২৯ হাজার ৬৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে এবার, গতবছর চাষ হয়েছিলো ২৮ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে। গতবারের চেয়ে ১ হাজার ৫৮৫ হেক্টর বেশি।