মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বের অধিকাংশ দেশ যেখানে লকডাউনে সেখানে তুরস্ক ভিন্ন পথে করোনাভাইরাস মোকাবেলা করছে। ব্যতিক্রমী এ লড়াইয়ে দেশটি আংশিক লকডাউন আরোপ করেছে। অর্থাৎ ২০ বছরের নিচে ও ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে বয়সীদের ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বাকি নাগরিকরা অর্থাৎ যুবকদের কাজে বের হওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এতে একদিনে অর্থনীতি চাঙ্গা থাকছে, অন্যদিকে করোনা সংক্রমণ কিছুটা হলেও এড়ানো সম্ভব হচ্ছে। তুরস্কের এ পন্থাকে অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ স্বাগত জানিয়েছেন।
এদিকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মহামারীতে আক্রান্তদের এক-চতুর্থাংশই সুস্থ হয়ে পরিবারে ফিরে গেছেন। মারা গেছেন শনাক্তের মাত্র ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এ তথ্য মিলছে শুধুমাত্র শনাক্তদের উপাত্ত বিশ্লেষণে। তবে বিশ্বজুড়ে এখনও অশনাক্ত রয়েছে গেছে লাখ লাখ রোগী। সকল শক্তি বিনিয়োগ করে প্রচেষ্টা চলছে তাদের শনাক্ত করে চিকিৎসা দেয়ার বা কোয়ারেন্টিন করে আরো সংক্রমণ রোধের। আর প্রতিষেধক বা ওষুধ তৈরির প্রচেষ্টাও চালাচ্ছেন ভাইরোলোজিস্ট, চিকিৎসা-গবেষণায় নিয়োজিতরা।
গতকাল রাত সাড়ে ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে ২২ লাখ ২৬ হাজার ৯৪১ জন, মারা গেছেন ১ লাখ ৫০ হাজার ৫৯৭ জন এবং সুস্থ হয়ে পরিবারে ফিরে গেছেন ৫ লাখ ৬৩ হাজার ৬৭৪ জন। শনাক্তদের মধ্যে ১৪ লাখ ৫৬ হাজার ২৯৭ জন এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন যাদের মধ্যে শঙ্কামুক্ত নন ৫৬ হাজার ৩৭৩ জনের মতো রোগী। অপরদিকে ৭ লাখ ১৪ হাজার জনের ফাইল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কারণ তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৬৩ হাজার ৬৭৪ জন চিকিৎসা নিয়ে পরিবারে ফিরেছেন আর ১ লাখ ৫০ হাজার ৫৯৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
এদিকে গতকাল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত করোনাভাইরাসের আঁতুড়ঘর খ্যাত উহানে নতুন করে ১২৯০ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে চীন। এছাড়া গতকাল ৫ সহস্রাধিক মৃত্যুর তালিকায় আরো যোগ হয়েছে- যুক্তরাষ্ট্রে ৮৬৪ (মোট ৩৫,৪৮১), যুক্তরাজ্যে ৮৪৭ (মোট ১৪,৫৭৬), ইতালিতে ৫৭৫ (মোট ২২,৭৪৫), স্পেনে ১৬৩ (মোট ১৯,৪৭৮), বেলজিয়ামে ৩০৬ (মোট ৫,১৬৩) হল্যান্ডে ১৪৪ (মোট ৩,৪৫৯), জার্মানিতে ১৪১ (মোট ৪,১৯৩), তুরস্কে ১২৬ (মোট ১,৭৬৯), ইরানে ৮৯ (মোট ৪,৯৫৮), সুইডেনে ৬৭ (মোট ১,৪০০), রাশিয়ায় ৪১ (মোট ২৭৩), সুইজারল্যান্ডে ৩৭ (মোট ১,৩১৮), মেক্সিকো ৩৭ (মোট ৪৮৬), ফিলিপাইনে ২৫ (মোট ৩৮৭), পর্তুগাল ২৮ (মোট ৬৫৭), ইন্দোনেশিয়ায় ২৪ (মোট ৫২০), রোমানিয়ায় ১৯ (মোট ৪১১), পোল্যান্ডে ১৮ (মোট ৩৩২), আলজেরিয়া ১৬ (মোট ৩৬৪), ডেনমার্ক ও বাংলাদেশে ১৫ জন করে।
গত ১০ এপ্রিল তুরস্কে হঠাৎ করেই আংশিক লকডাউন ঘোষণার পরপরই প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে দোকানে দোকানে ভিড় জমে। এ পরিস্থিতিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেন, তুরস্ক তার নাগরিকদের সুরক্ষায় যথেষ্ট। এ সময় তিনি ২০ বছরের নিচে এবং ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে বয়সীদের ঘরে থাকার নির্দেশ দেন। এর বাইরে সব নাগরিককে কাজে ফিরতে বলেন। তুরস্কে ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলো বন্ধ। পণ্য ডেলিভারির শর্তে রেস্টুরেন্টগুলো খোলা।
পার্কের মতো জনসমাগমস্থলগুলো বন্ধ এবং ব্যাংকের কর্মঘণ্টা সীমিত করা হয়। এর বাইরে কলকারখানা, নির্মাণ কেন্দ্র এবং অন্য ব্যবসাগুলো পুরোদমে খোলা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আংশিক বিধি নিষেধে তুরস্ক সফল হতে পারে। সূত্র : ওয়ার্ল্ডমিটার্স ও সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।