পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার কল্যাণ: ‘মানুষের শুভবুদ্ধি উদয় প্রয়োজন। অন্যথায় আরো সীমালঙ্ঘনে চরমতম পতনের দিকেই যাবে মানবসভ্যতা’ Ñবিজ্ঞানীদের সতর্ক আশাবাদ
বিচিত্র পাখ-পাখালী উড়ছে গাইছে। পাহাড় জঙ্গলে ঘন সবুজ সতেজতা ছড়িয়ে গাছপালা বেড়ে উঠছে। বুনো সব প্রাণিকুল দলবেঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছে মনের আনন্দে। গভীর সাগর ছেড়ে দলে দলে ডলফিন সৈকতের কাছে পানি ও কর্ণফুলী নদীতে খেলছে ডিগবাজি। বুড়িগঙ্গাসহ বিষাক্ত নদ-নদীগুলোর দুর্গন্ধ কমেছে। পরিস্কার হয়ে উঠছে পানি। তৈরি হচ্ছে হরেক প্রজাতির মাছের বিচরণ ও প্রজননের পরিবেশ। এশিয়ায় মিঠাপানির বড়জাতের মা-মাছেরা চলতি মাসে ডিম ছাড়তে প্রস্তুত হচ্ছে। বঙ্গোপসাগর ৩৬ জাতের চিংড়িসহ ৪শ’৭৬ জাতের মাছের অভয়ারণ্য হয়ে উঠছে। খুলনার দুবলা-সুন্দরবন থেকে উখিয়া-টেকনাফ অবধি উপক‚লীয় বনের ঘনত্ব বাড়ছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপে কোরাল প্রাচীর হচ্ছে নিবিড়।
খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান থেকে শুরু করে কুমিল্লা, সিলেটের জাফলং জৈন্তিয়া পাহাড়-টিলা, গারো-ভাওয়ালে বৃক্ষরাজি দিন দিন হয়ে উঠেছে সতেজ। পৃথিবীর দীর্ঘতম কক্সবাজার সৈকতের বালুমাটির বুক ভেদ করে সাগরলতা, ঘাষ-গুল্ম, বুনোফুলের কার্পেট ছড়িয়ে পড়ছে। মাটির ভিত হচ্ছে মজবুত।
রাজধানী ঢাকায় বায়ুদূষণ বহুগুণে কমেছে। শহর-নগর, বন্দর-গঞ্জ, শিল্পাঞ্চলে নেই শব্দদূষণ ত্রাস। এমনিভাবে কত কী না চাঞ্চল্যে ভরপুর প্রকৃতিতে চলছে সুখের নাচন। যার বেশিরভাগই মানুষের চোখের অগোচরেই ঘটছে। প্রকৃতিরাজ্যে হঠাৎ জয় জাগরণের উৎসব। ৫৬ হাজার বর্গ কিলোমিটার আয়তনের বাংলাদেশের পরিবেশ-প্রকৃতি হচ্ছে সজীব। লক্ষাধিক বর্গ কি.মি. সাগরসীমাও মৎস্যসহ প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর হয়ে উঠছে। এ যেন শূণ্যতা পূরণে প্রকৃতির মহিমায় রিচার্জ বা পুনর্ভরণ প্রক্রিয়াই চলছে।
করোনা আতঙ্কে মানবজাতির ঘোর অমানিশা। উন্নত বিশ্বে গণকবরে লাশের সারি। লকডাউন। মানুষ নীরবে ঘরবন্দি। ভয়-শঙ্কায় পৃথিবীর দুইশ’ দেশের চার শত কোটি মানুষ কোয়ারেন্টাইনে নিজেদের গুটিয়ে রেখে ‘নাই’ হয়ে গেছে। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের অন্তত তিন অথবা চার ভাগের এক ভাগ গৃহকোণে। কারও মনে নেই শান্তি। অন্যদিকে ভীত-পীড়িত মানবজাতিকে পাশে রেখেই পৃথিবী এখন যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। নতুনের আবাহনে জেগে উঠেছে। পরিবেশ, প্রকৃতি, প্রাণিজগত তার সৌন্দর্যকে মেলে ধরায় আজ মাতোয়ারা।
প্রকৃতিরাজ্যে এখন শুধুই গড়ন গঠনের সময়। পৃথিবী নামক সুন্দর গ্রহটির প্রবেশদ্বারে সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়েছে- ‘ডিসটার্ব করো না। পৃথিবীর মেরামত কাজ চলছে।
মানবজাতির অসহায়দশাকে ব্যঙ্গ করে যেন গাইছে যেন সত্যজিৎ রায়ের ‘হীরক রাজার দেশে’র অমর গান- ‘আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে। শাখে শাখে পাখি ডাকে। কত শোভা চারিপাশে। ...আজকে মোদের বড়ই সুখের দিন। আজ ঘরের বাঁধন ছেড়ে মোরা হয়েছি স্বাধীন। ...আজ আবার মোরা ভবঘুরে। মুলুক ছেড়ে যাবো দূরে’। বিশ্বজুড়ে করোনায় ক্ষতি বহুমুখী। তাতে কোন সন্দেহ নেই। (কাল শেষ পর্ব)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।